ভারতে কি গরিবি বাড়ছে? অন্তত জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর এনএসওর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন তেমনটাই জানাচ্ছে৷ ১৯৭২-৭৩ এর পর এমন দুরবস্থা হল মোদীর ভারতে৷ এমনিতে ১১৭টি রাষ্টের মধ্যে ক্ষুধার তালিকায় ভারত বাংলাদেশের চেয়ে পেছনে৷ আমাদের স্থান ১০২৷ গরিবির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনাহারীর সংখ্যাও । স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম দেশের অধিকাংশ মানুষ খাওয়া দাওয়ার জন্য খরচ করছে৷ ফলে বাড়ছে অপুষ্টির সংখ্যাও৷ উল্লেখ্য দেশে ৪৫ বছর বেকারত্বর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি৷
একটি সর্বভারতীয় বাণিজ্যিক পত্রিকার খবর অনুসারে, ভারতীয়দের গড়ে ভোক্তা খরচ গত ৫০ বছরের হিসাবে ৩.৭ শতাংশ কমে গিয়েছে৷ প্রাক্তন যোজনা কমিশনের সদস্য অভিজিত সেন জানান, জিনিসপত্রের দাম বাড়ার জন্য গ্রামাঞ্চলে গড়ে কাওয়া খরচও অনেক বেড়ে গিয়েছে৷ সেই তুলনায় কর্মসংস্থান না থাকায় দারিদ্র্য ও অপুষ্টি বাড়ছে দেশে৷ যা সত্যি গভীর উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করেন তিনি৷ সরকার অবশ্য এই রিপোর্ট মানতে নারাজ৷ তাদের পাল্টা দাবি আগের তুলনয়া অবস্থা অনেকটা ভালর দিকে এগোচ্ছে৷ মানুষের যা অবস্থা তাতে খাওয়া বাবদ গ্রামাঞ্চলে খরচ কমে গিয়েছে৷ এনএসও-র রিপোর্ট অনুসারে ২০১১-১২ সালে যেখানে গ্রামাঞ্চলে মাসে মানুষ গড়ে খাওয়া বাবদ ১৫০১ টাকা খরচ করত সেখানে ২০১৭-১৮ সালে ১৪৪৬ টাকা খরচ করতে পারে৷ এই ছয় বছরে কাওয়া খরচ ৮.৮ শতাংশ কমেছে৷ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা অসম্বব ভাবে কমে গিয়েছে৷ এমনটাই জানাচ্ছে এই প্রতিবেদন৷
৭০ এর গোড়ায় বিশ্বে তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য ভারতে গরিবি ও অপুষ্টি বেড়ে গিয়েছিল৷ ষাটের দশকে চাহিদা অনুসারে দেশে খাবারের জোগান ছিল কম৷ তবে ২০১৭- ১৮ সালে মোদী সরকার জিএসটি চালুর পরে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে৷ ফলে গ্রামাঞ্চলে মানু৷এর মাসিক খাওয়া খরচ ছয় বছর আগে যেখানে ৫৮০ টাকা গড় ছিল তা কমে ৪৪৩টাকায় দাঁড়িয়েছে৷ এই রিপোর্টে স্পষ্ট জানানও হয়েছে দেশর সার্বিক অর্থনীতির বেহাল অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গরিবি বেড়ে চলেছে৷ তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে অপুষ্টিও৷