ঝাড়খণ্ডে এলজেপি আগেই বিজেপিকে ছেড়ে একলা চলার ডাক দিয়েছে৷ এবার এজেএসইউ জোট থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিল৷ দলের মুখপাত্র দেওসারন ভাগত বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য পরিষ্কার৷ ঝাড়খণ্ডে মজবুত সরকার তৈরি হোক৷ বিভিন্ন ইস্যুর দ্রুত সমাধান হোক’৷ তিনি আরও বলেন, ‘জনমতের ভিত্তিতে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে৷ দলের লক্ষ্য সবচেয়ে বেশি সংখ্যক আসন জয় করা৷’ এর আগে দলের সভাপতি সুদেশ কুমার মাহাতো বলেছিলেন, ‘তাঁরা বিজেপির কাছে ১৭ জনের নামের তালিকা দিয়েছে৷ যাতে এখনই আসন রফার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়৷’
‘একলা চলো’ নীতি নিচ্ছে এনডিএ-র একের পর এক বড়, ছোট শরিক, তাতে বার্তাটা গেরুয়া শিবিরের কাছে খুব স্বস্তিদায়ক নয়। মহারাষ্ট্রে শিবসেনা নিজেদের অবস্থানে এতটাই অনড় রইল যে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও সরকার গঠন করতে ব্যর্থ বিজেপি। তারই মধ্যে ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। এনডিএ-র আরেক শরিক লোকজনশক্তি পার্টির (এলজেপি) দাবি ছিল, এ বার ঝাড়খণ্ডে তাদের ছ’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হোক। কিন্তু তাতে নারাজ গেরুয়া শিবির। মঙ্গলবার তাই এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান জানিয়ে দিলেন, রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তাঁর দল। টুইটারে চিরাগ আরও জানান, দলের ঝাড়খণ্ড ইউনিট সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ৮১ আসনের বিধানসভার মধ্যে ৫০টি আসনেই প্রার্থী দেওয়া হবে। চিরাগ মঙ্গলবার সন্ধেয় প্রার্থীতালিকা প্রকাশের কথাও জানিয়েছেন। অর্থাৎ বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমর।
এলজেপি প্রথম থেকেই জোট চেয়েছিল। কিন্তু বিজেপি নেতাদের যুক্তি, গত বিধানসভা নির্বাচনে তাদের একটি মাত্র আসনে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেটি-ও হেরে যায় তারা। তাই জারমুন্ডি, নালা, হুসেইনাবাদ, বারকাগাঁও, লাতেহার ও পানকি- এলজেপির দাবিমতো এই ছ’টি আসন ছেড়ে দেওয়া অর্থহীন। এবার নতুন করে সমস্যা তৈরি হল এজেএসইউ-কে নিয়ে৷ এখানে পাঁচ দফায় নির্বাচন৷ ৩০ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট হবে৷ ২৩ ডিসেম্বর গণনা৷