ফের সরকারের অন্দরে কাঁপুনি ধরাল মুডিজ ইনভেস্টর সার্ভিস। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে মুডিজ সংস্থা জানিয়েছিল, ভারতীয় অর্থনীতিতে ঝিমুনি দীর্ঘস্থায়ী হবে। বৃহস্পতিবার এই সংস্থাই আরও একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ওই একই অবস্থানে অনড় থাকল।
এদিন ওই সংস্থা জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে অর্থাৎ ২০১৯-২০ সালে ভারতের জিডিপ হার কমে ৫.৬ শতাংশে নামবে। যেখানে শুরুতে ভাবা হয়েছিল ভারতে জিডিপি হার ২০১৯–২০২০ সালে ৫.৮ শতাংশ হবে। ২০১৮–১৯ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৪ শতাংশ।
যদিও মুডিজের দাবি, আগামী দিনে অর্থাৎ ২০২০ এবং ২০২১ সালে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৬.৭ শতাংশে পৌঁছতে পারে। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে অর্থনীতি পাঁচ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে হলে যে গতিতে বৃদ্ধি হওয়া উচিত, তা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। মুডিজ জানাচ্ছে, ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময় থেকেই ভারতের অর্থনীতিতে ঝিমুনি দেখা গিয়েছিল। তখন থেকেই অর্থনীতিবিদ এবং বাজার বিশেষজ্ঞরা লাল সংকেত দিচ্ছিলেন।
এছাড়াও কেন্দ্রের নোটবন্দী এবং জিএসটি নীতির ফলে দেশের অর্থনীতি যে নিম্নগামী হতে শুরু করেছে, তা একাধিক কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক রিপোর্টেই স্পষ্ট। অর্থনীতি চাঙ্গা করতে কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল করের বোঝা। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে দাবি মুডিজের। সংস্থার দাবি, করের বোঝা কমানোর ফলে রাজকোষে ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ফলে সেক্ষেত্রে বাড়বে ঋণের বোঝাও। বিগত কয়েকদিনে সুদের হার বেশ কয়েকবার কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। লগ্নী বাড়াতে এই নীতি দেশে স্ট্যাগফ্লেশন পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে যেখানে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার মূল্যবৃদ্ধির চেয়ে কম হবে।