মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সময় ছিল সরকার গঠনের। এই সময়ের মধ্যেই সরকার গঠনের দাবি জানাতে হত এনসিপিকে। কিন্তু ঘণ্টা দুয়েক বাকি থাকতেই মহারাষ্ট্রে জারি হয়ে যায় রাষ্ট্রপতি শাসন। সব পক্ষকে সুযোগ না দিয়ে সাত তাড়াতাড়ি এই সিদ্ধান্তের জন্য ইতিমধ্যেই মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেলেও এখনও সে রাজ্যে সরকার গড়ার আশা ছাড়েনি শিবসেনা। এখনও শরদ পাওয়ারের এনসিপি এবং কংগ্রেসের সাহায্য নিয়ে সরকার গড়ার জন্যে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের দল।
সূত্রের খবর, যদি শেষ পর্যন্ত ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি ও কংগ্রেসের সমর্থনে শিবসেনা সরকার গঠন করতে সমর্থ হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্যও দাবি জানাবে এনসিপি। জানা গেছে, শিবসেনাকে সমর্থনের প্রশ্নে যে শর্তগুলি শরদ পাওয়ারের দল দিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল শিবসেনার সঙ্গে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতে দিতে হবে তাঁদের প্রতিনিধিকেও। হ্যাঁ, শিবসেনার ৫৬ টি আসন থেকে মাত্র ২টি আসন কম থাকায় এনসিপি মনে করছে যে মহারাষ্ট্রে কংগ্রেস ও তাঁদের সমর্থনে উদ্ধব ঠাকরের দল সরকার গড়লে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হবে তাঁরাও।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রে সরকার গড়তে ১৪৫ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। সেখানে কংগ্রেস ও এনসিপি যদি শিবসেনার হাত ধরে তবে তাঁদের মোট বিধায়কের সংখ্যা হবে ১৫৪ জন। আর এর আগে বিজেপির সঙ্গে সরকার গড়ার সময় ঠিক এনসিপির মতোই একই দাবি করেছিল শিবসেনা। তাঁরাও বলেন যে শুধু বিজেপির প্রতিনিধিই নন, আড়াই বছর–আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদের মেয়াদে ওই আসনে বসতে চান শিবসেনার প্রতিনিধিও। যদিও সেই দাবি খারিজ করে দেয় বিজেপি। ফলে ভেঙে যায় বিজেপি-শিবসেনার সুখের সংসার।
এদিকে, মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়ার পর, এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গঠনের আশা ধরে রেখেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। দীর্ঘদিনের বিরোধী এবং আদর্শগতভাবেও ভিন্ন দল কংগ্রেসের সঙ্গে মতপার্থক্য সরিয়ে রেখে তাঁর মত, ‘একসঙ্গে কাজ করার পথ বের করেছিল মেহবুবা মুফতির পিপিডি এবং বিজেপি। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটাও সম্ভব।’ মঙ্গলবার সন্ধেয় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করার পথ বের করব। আমাদের ৬ মাস সময় রয়েছে।’ তাঁর সাফ কথা, ‘আমি বিজেপিকে আদর্শের প্রশ্ন করতে চাই। কী করে তারা নীতীশ কুমার, পাসোয়ান, পিডিপি এবং নাইডুর সঙ্গে যেতে পারে।’