অবশেষে আন্তর্জাতিক ন্যায় বিচার আদালতের চাপের কাছে এবার নতি স্বীকার করল পাকিস্তান সেনা বাহিনী। তাই বাধ্য হয়ে বহু বছরের পুরনো সেনা আইন এবার সংশোধন করতে চলেছে পাকিস্তান। ইমরান খান সরকার সেনা আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে৷ এই আইন সংশোধন হলে কুলভূষণ যাদব তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে অসামরিক আদালতে আবেদন করতে পারবেন।
চরবৃত্তি এবং সন্ত্রাসবাদের দায়ে ২০১৭ সালে কুলভূষণ যাদবকে দোষীসাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়৷ সেনা আদালতের ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল কুলভূষণকে সাজা দেন৷ ২০১৬ সালের ৩ মার্চ বালুচিস্তানে গ্রেফতার করা হয় কুলভূষণকে। অভিযোগ, সেখানে থেকে ভারতের হয়ে চরবৃত্তি করছিলেন তিনি। কিন্তু ওই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। দিল্লীর পক্ষে দাবি করা হয়েছে, ইরানে ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকে তাঁকে অপহরণ করে বালুচিস্তানে আনা হয়। তারপর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযাগে ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।
আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের বিচারপতি আব্দুল্লাকি ইউসুফ রাষ্ট্রসংঘে জানান, কুলভূষণ মামলায় ভিয়েনা সম্মেলনের ৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদ মানেনি পাকিস্তান। উল্টে চোরের ওপর বাটপারি করার কায়দায় তাঁরা দাবি করেছে, গুপ্তচর সন্দেহে কাউকে গ্রেফতার করে জেলে রাখলে নাকি ভিয়েনা চুক্তি খাটে না। যার ফলে গোটা ঘটনায় ফের একবার আন্তর্জাতিক স্তরে ছোট হতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের শোধ কুলভূষণ যাদবের মাধ্যমে তুলছে পাকিস্তান। যা বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। জেলবন্দি ভারতীয় নৌসেনা কর্মীকে কনস্যুলার অ্যাক্সেস না দিয়ে কার্যত ভিয়েনা সম্মেলনে তৈরি হওয়া আইন লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। এই নিয়ে ইসলামাবাদকে কড়া কথা শোনায় আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালত। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই নিয়ে মারাত্মক শ্লেষের সম্মুখীন হতে হয়েছে পাকিস্তানকে।