বুলবুলের জন্য উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গিয়েছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। বুধবার গেলেন উত্তরে। বসিরহাট মহকুমার বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকাগুলি আকাশপথে পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর প্রশাসনিক বৈঠকে এলাকা পুনর্গঠনে একাধিক নির্দেশ দিলেন তিনি।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/479059942953380/
বুধবার প্রশাসনিক বৈঠকে কর্তা, কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এখন এমার্জেন্সি। আপনারা একটু বেশি করে কাজ করুন। ৮ ঘণ্টার জায়গায় ১২ ঘণ্টা কাজ করুন। দরকার হলে সরকার ইনসেন্টিভ দেবে। কিন্তু আগে দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজনীতি যাতে না হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘বেশি করে ত্রিপল দিন। দরকার হলে আমরা আরও দেব। কিন্তু দেখবেন সবাই যেন পায়। এটা এর ঘর, ওটা তার ঘর বাছবিচার করবেন না।’
বসিরহাটের প্রশাসনিক বৈঠকে এলাকা পুনর্গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে যুদ্ধাকালীন পরিস্থিতি কাজ করার নির্দেশ দেন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী কাকদ্বীপ থেকে ফেরার পর দেখা যায় একটি নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। গ্রামে জল ঢুকছে হুহু করে। সে ব্যাপারে ম্যখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কাঁচা বাঁধগুলি দ্রুত মেরামতির কাজ করুন। দরকার হলে ওই এলাকার লোকজনকে ক্যাম্প করে রাখুন। দেখবেন, একজন মানুষের জীবনও যেন না নষ্ট হয়।’
গ্রামে গ্রামে মোবাইল হেলথ টিম পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের প্রশংসাও শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, ‘এক লক্ষ ৭০ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়া গিয়েছিল। এটা একটা বড় কাজ। কিন্তু এখন যে এলাকায় জল জমে রয়েছে, সে সব জায়গায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।’ প্রশাসনকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, বেবী ফুড, শুকনো খাবার, জ্বরজালার ওষুধ, ওআরএস – সব বেশি বেশি করে বিলি করুন। এই কাজ করতে যদি বাড়তি লোকবলের দরকার হয়, তাহলে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে লোক নেওয়ারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।