বিজেপির দরজা সবার জন্য সবসময় খোলা থাকে। লোকসভা ভোটের পরপরই দেখা গিয়েছিল তার নমুনা। একের পর এক অন্যান্য দলের নেতা মন্ত্রীরা গিয়ে যোগ দিচ্ছিলেন বিজেপিতে। যদিও কিছুদিন পর তাঁদের মধ্যে থেকে বেশিরভাগই দলত্যাগ করে বেরিয়েও এসেছেন। এবার ফের সেই নীতিতেই চেতলার এক সময়ের ত্রাস, ডন শ্রীধর দাসের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্য বিজেপির এহেন সিদ্ধান্তে দলের মধ্যেই উঠে গিয়েছে প্রশ্ন।
বাম আমলে চেতলার ত্রাস ছিলেন শ্রীধর দাস। তোলাবাজি-সহ একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর নামে। সেই সময় তাঁর উপরে সিপিএম নেতাদের বরাভয় ছিল বলে দাবি করেন স্থানীয়রা। কিন্তু পরিবর্তনের জমানায় দাপট কমে তাঁর। তাই এবার শ্রীধর সরাসরি যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অনতিদূরে রাসবিহারীর ‘আদি দক্ষিণ কলকাতা বারোয়ারি সমিতি’র দুর্গাপুজোর দখলকে ঘিরে প্রচারে আসেন শ্রীধর। তাঁকে ব্যবহার করে পুজোটি দখলের চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ওই পুজো কমিটির অফিসে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু যাওয়ার পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুপক্ষের মধ্যে বাঁধে সংঘর্ষ। তারপরই গ্রেফতার করা হয় শ্রীধর দাসকে।
সেই শ্রীধরই আনুষ্ঠানিকভাবে আজ যোগ দিলেন বিজেপিতে। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া, শ্রীধর আসায় দক্ষিণ কলকাতায় সংগঠন মজবুত হবে। আর শ্রীধরের অভিযোগ, তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে শাসক দল। সে কারণে এলাকার বাইরে থাকতে হচ্ছে।