এক কোটি দু’কোটি নয়, একেবারে ৭০০ কোটি! এত বড় টাকার অঙ্ক শুনে হা হয়ে যেতে পারে মুখ। তবে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ৭০০ কোটিরও বেশি টাকা অনুদান হিসেবে আদায় করেছে বিজেপি। বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে এবার দেশের নির্বাচন কমিশনকে এমনটাই জানাল মোদী-শাহদের দল। মূলত চেক এবং অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমেই ওই টাকা আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির।
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুসারে, রাজনৈতিক দলগুলির প্রতি আর্থিক বছরে তাঁদের প্রাপ্ত সমস্ত অনুদানের তথ্য প্রকাশ করার বাধ্যতামূলক। সেই নিয়ম মেনেই নিজেদের দলের অনুদান থেকে প্রাপ্ত হিসেবনিকেশ দিয়েছে বিজেপি।
কেন্দ্রের শাসক দলের দাবি, মোট আদায়কৃত অর্থের প্রায় অর্ধেকটাই অনুদান দিয়েছে টাটা নিয়ন্ত্রিত প্রগ্রেসিভ ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট। জানা গেছে, টাটা নিয়ন্ত্রিত প্রগ্রেসিভ ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট অনুদান হিসাবে বিজেপিকে দিয়েছে ৩৫৬ কোটি এবং ভারতের সমৃদ্ধশালী প্রডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট ৫৪.২৫ কোটি টাকা দিয়েছে গেরুয়া দলকে।
প্রডেন্ট ইলেক্টোরাল ট্রাস্টকে সমর্থন করে ভারতী গ্রুপ, হিরো মটোকর্প, জুবিল্যান্ট ফুড ওয়ার্কস, ওরিয়েন্ট সিমেন্ট, ডিএলএফ, জে কে টায়ার সহ শীর্ষস্থানীয় কর্পোরেট হাউসগুলি। শাসক দল যে অনুদান সম্পর্কিত তথ্য দিয়েছে তা অনুসারে ২০,০০০ টাকা বা তার বেশি টাকা অনুদান হলে তা চেক বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে দলের হাতে এসেছে।
তবে নির্বাচনী বন্ড আকারে প্রাপ্ত অনুদান ফাইলিংয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল না বলে জানিয়েছে বিজেপি। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার পাশাপাশি নির্বাচনী ট্রাস্টের কাছ থেকেও অনুদান পেয়েছে বলে জানা গেছে।