এনআরসি নিয়ে বিজেপির বাড়াবাড়ি মেনে নিতে পারছেন না বনগাঁর সক্রিয় বিজেপি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁদের একমাত্র ভরসা বলে মনে করছেন তাঁরা। তাই নিজের দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ ২১ জন কর্মী। স্থানীয় তৃণমূল নেটার হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে নেন দলত্যাগী বিজেপি নেতারা।
হাবড়া বিধানসভার পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় বাসিন্দা রত ন দাস ১০ বছর ধরে বিজেপির বুথ সভাপতি। এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাঁর সক্রিয়তায় গত লোকসভা নির্বাচনে জিওলডাঙা গ্রামের ৩০ এবং ৩১ নম্বর বুথে তৃণমূলের থেকে ১৯৪ ভোট বেশি পায় বিজেপি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তিনি আতঙ্কিত। মূল কারণ এনআরসি নিয়ে বিজেপির এমন দাপাদাপি। তাঁদের বক্তব্য, ‘এনআরসি বিরোধিতা করে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের ভরসা দিচ্ছেন। তাই আমরাও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকতে চাই। তাঁর উন্নয়নে শামিল হতে চাই। তাই লোকসভা নির্বাচনের পরেই আমরা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।’
এরপরই হাবড়া ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে এলাকার বিজেপি নেতা রত্ন দাস- সহ ২১ জন বিজেপি সমর্থক জিওলডাঙা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। জাকির হোসেনের আশা, লোকসভা ভোটে এই এলাকায় তৃণমূল যত ভোট কিমি. পেয়েছে, রতন দাসের হাত ধরে সেই ভোট তৃণমূলে ফিরে আসবে।