দিন কয়েক আগেই সাভারকরকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এবার সাভারকরকে মহান দেখাতে স্বাধীন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রধান কারিগর পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুকে হেয় করে তাঁর কর্মকান্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নানা ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে রবিবার বারুইপুর মিলন মেলার অনুষ্ঠানে নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনেন স্পিকার।
বিমান বলেন, ‘গান্ধীজি, নেতাজি, নেহেরুর নেতৃত্বে যে স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে, যে শত শত স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রাণ দিয়েছেন, তাঁদের অবদানকে এখন ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যে দল কোনও দিন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নেয়নি, তারাই এখন দেশের ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। নেহেরু সদ্য স্বাধীন দেশে কীভাবে খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে বুভুক্ষু দেশবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সে ইতিহাস দেশের আজকের পরিচালকেরা জানেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পরিকাঠামোর মধ্যে দাঁড়িয়ে নেহেরু যেভাবে সমাজতান্ত্রিক অর্থনৈতিক বিকাশ ঘটিয়েছেন, তা গোটা বিশ্বেই নজির এবং অনুকরণীয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য থেকে গ্রামীণ উন্নয়নে পঞ্চায়েত প্রথা চালু করেছিলেন তিনি। সেই পন্ডিত নেহেরুকে ভুলিয়ে দিতে আজ সাভারকরকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা চলছে।’ শুধু তাই নয়। উক্ত অনুষ্ঠানে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ভাবধারা তুলে ধরে মেলা উদ্যোক্তাদের স্পিকার বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর নেহেরুর জন্মদিন তথা শিশু দিবসে সমস্ত রাইডেই শিশুদের ছাড় দেওয়া হোক। স্পিকারের এই প্রস্তাব কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মিলনমেলা কর্তৃপক্ষ।