‘বুলবুল’-এর তান্ডবে লন্ডভন্ড পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের বহু অংশ। ঝড়ের দাপটে তছনছ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। বকখালি, দিঘা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় অনেক আগে থেকেই তৎপর প্রশাসন। শনিবার বিকেলেই নবান্নের কন্ট্রোল রুমে পৌঁছে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্বিগ্ন থেকেছে সবসময়। সামনে দাঁড়িয়ে থেকে তদারক করেছে পুরো পরিস্থিতি। দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। নিজেই পরিচালনা করছেন ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ।
‘বুলবুল’এর দাপট কেটে গেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “মূল অভিঘাত কেটে গেছে। তবে যতক্ষণ না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, কেউ অপ্রয়োজনে বাইরে বেরোবেন না।” তিনি আরও বলেন, ঠিক কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন প্রশাসনিক কর্তারা। তৎপর রয়েছে উদ্ধারকারী দলও। সারা রাত জেগে উদ্ধারকাজ তদারকি করেছেন জেলাশাসক, পুলিশকর্তারা। বিভিন্ন সাইক্লোন সেন্টারে ২ লক্ষ ৪০ হাজার খাবার জলের পাউচ পাঠানো হয়েছে। ১ লক্ষ ৬৪ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। প্রায় ৩১৮টি শরণার্থী শিবিরে ঠাঁই মিলেছে ১ লক্ষ ১২ হাজার মানুষের। প্রশাসনের থেকে সবুজ সঙ্কেত না মেলা পর্যন্ত ত্রাণশিবিরেই রাখা হবে আশ্রিতদের।
প্রসঙ্গত, সাগরদ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার। স্থলভাগে ঢোকার পরে তার বেগ বেড়ে হয়েছে ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই সাগরদ্বীপ ও সুন্দরবনে বেশ কিছু মাটির বাড়ি ভেঙে গেছে, গাছপালা উপড়ে রাস্তাঘাট বন্ধ। ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।