নয় নয় করে দীর্ঘ ১৩৪ বছরের আইনি লড়াই। অবশেষে এক শতকের বেশি সময় ধরে চলে আসা আইনি মামলায় যবনিকা টেনে আজ অযোধ্যা মামলায় ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে বিতর্কিত জমির মালিকানা দেওয়া হয়েছে রাম জন্মভূমি ন্যাসকে। ওই বিতর্কিত জমিতেই রামমন্দির হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। আর বিকল্প পাঁচ একর জমি মুসলিমদের পক্ষের ‘সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড’কে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন সাংবিধানিক বেঞ্চ। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পক্ষে-বিপক্ষে ইতোমধ্যেই মতামত সামনে এসেছে। ইতিমধ্যেই অযোধ্যায় বিকল্প জমির প্রস্তাবে খুশি নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড। এই পরিস্থিতিতে রায় প্রকাশের পরই সর্বত্র শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী সব পক্ষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতারা।
যেমন শীর্ষ আদালতের রায়ের পর অযোধ্যা মামলার অন্যতম পক্ষ সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী জাফরআইব জিলানি বলেন, ‘আমরা রায়কে সম্মান জানাই। কিন্তু, এতে আমরা সন্তুষ্ট নই। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করব।’ তবে এ নিয়ে তাঁরা যে কোনওরকম বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ করবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন রাজনৈতিক নেতারাও। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায়কে প্রত্যেকের স্বাগত জানানো উচিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে এই রায় উপযুক্ত। এর পরে এই ইস্যুতে আর বিতর্ক থাকা উচিত নয়। এটাই আমি প্রত্যেকের কাছে আবেদন করতে চাই।’ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেন, ‘আদালতের রায় রামমন্দির নির্মাণের দরজা খুলে দিল৷ আমরা রামমন্দির তৈরির পক্ষে৷ সকলে শান্তি বজায় রাখুন৷’ সকলকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার অনুরোধ করেছেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও।
