গতকালই হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছিল, অতি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপের হাত থেকে নিস্তার পাবে না বাংলাও। হাওয়া অফিসের কথা অনুযায়ী, সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়বে এই ঝড়। তাই এই দূর্যোগ মোকাবিলায় কোনও ফাঁক রাখছে না প্রশাসন। খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম।
এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বাংলার উপকূল অঞ্চল। তাই সুন্দরবনের দিকে বুলবুল মোকাবিলায় প্রশাসন তৎপর রয়েছে। ঝড়ের সময় সুন্দরবনের ফেরি পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোটা এলাকায় চলছে মাইকিং। ঝড় আছড়ে পড়ার সময় মানুষজনকে বাড়ি থেকে বেরতে নিষেধ করা হচ্ছে।
সকাল থেকে মেঘে ঢেকে রেখেছে সুন্দরবন এলাকা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বকখালি ও গঙ্গাসাগরের উপকূলে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে উপকূল এলাকায় জেলা থেকে একজন এডিএমকে ইতোমধ্যেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। উপকূলবর্তী নিচু এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
সেচ দফতর, বন দফতর, পুলিশ কর্মীদেরকেও পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে শুকনো খাওয়ার ও ত্রিপল মজুত রাখা হয়েছে ব্লক ও গ্রাম পঞ্চায়েতে। উপকূলবর্তী সমস্ত বিডিও অফিস ও গ্রাম পঞ্চায়েতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে সোমবার পর্যন্ত। জেলার উপকূলবর্তী ব্লক এলাকায় প্রায় ৩০০ ফ্লাড সেন্টারকে তৈরি রাখা হয়েছে।