মহারাষ্ট্রের মসনদে কে বসবে তার কোনও ঠিক নেই এখনও পর্যন্ত। কিন্তু নিয়ম মাফিক ইস্তফা দিয়ে দিলেন দেবেন্দ্র ফডনবিশ। রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে এদিন নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন ফড়ণবীশ। এমনিতেই সরকার গঠনের কাজ শেষ দিন মহারাষ্ট্রের, তার আগে আজকের এই ইস্তফা ভীষণই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গতকালও সরকার গঠন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে রাজ্যে।
খাতায় কলমে সরকার গঠনের তারিখ ৮ নভেম্বর। কিন্তু ৫০:৫০ জটে পড়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন আপাতত শিকেয়। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে বিজেপির ঝুলিতে রয়েছে ১০৫ টি আসন। অথচ সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৪ টি আসন। এদিকে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬। শিবসেনার দাবি, আড়াই বছরের শাসক বানাতে হবে তাদের, অন্যদিকে বিজেপির ঘোষণা পাঁচ বছর তারাই শাসনভার সামলাবে। শরিক দলের সঙ্গে এমন পরিস্থিতি মহারাষ্ট্রে জোটকে বড়সড় জটিল করেছে। এই বিষয় ইতিমধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে সঞ্জয় রাউত।
সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাউত বলেন, ‘বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৮ নভেম্বর। হিসেব মতো সরকার গঠন করা উচিত তারও আগে। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ না হওয়ায় সরকার গঠনে অসমর্থ তারা। অথচ কোনও সদিচ্ছাও নেই। এটাই স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে বিজেপি এই রাজ্যে জোর করে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করতে চাইছে।’ অন্যদিতে উদ্ধব ঠাকরের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘মুখ্যমন্ত্রিত্ব দিতে হলে বিজেপি তাঁকে ফোন করতে পারে, নাহলে আলোচনার করার কোনও দরকার নেই।’