বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে পূর্বের তুলনায় এখন অনেক সুষ্ঠু ভাবে আয়োজিত হয় গঙ্গাসাগর মেলা। প্রত্যেক বছর এই মেলায় বহূ দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসেন তাই তাঁদের জন্যে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সরকার। খেয়াল রাখা হয় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবার দিকেও। এবারেও সেই উদ্দেশ্যে নেওয়া হল বেশ কিছু পদক্ষেপ।
আগামী বছর গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের চিকিৎসার জন্য এবার বাবুঘাটে একটি অস্থায়ী ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট খোলা হবে। সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিবছর গঙ্গাসাগর মেলায় আগত পূণ্যার্থীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে বাবুঘাটের মেলা গ্রাউন্ডে অস্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়। এবার কোন তীর্থযাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাতে দ্রুত তাঁদের চিকিৎসা শুরু করা যায় সেকারণে এই উদ্যোগ বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর । পাশাপাশি এবার অসুস্থ তীর্থ যাত্রীদের জন্য সাগর মেলা প্রাঙ্গণে এবার অ্যাম্বুলেন্স রাখারও পরিকল্পনা রয়েছে। মেলাকে কেন্দ্র করে যাতে একটিওপ্রাণহানি না হয় তা দেখতেই এই উদ্যোগ বলে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্য ভবনের তরফে।
স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বাবুঘাটে এ বারের স্বাস্থ্য শিবির বড় মাপের করা হবে। এই শিবিরে বেড রাখা হবে অর্থাৎ প্রয়োজনে কোনও তীর্থযাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। তবে, তার আগে, এই বেডে রেখেও তাঁর চিকিৎসা চলবে। এই বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয়কুমার চক্রবর্তীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, বাবু ঘাটে স্বাস্থ্য শিবির যদি বড় করে করা হয়, তাহলে বেডের ব্যবস্থা রাখা হতে পারে। এটা যদি হয়, তাহলে সেভাবে প্রস্তুতি নেওয়া হবে। তবে আগের তুলনায় এ বছর বাবুঘাটে বড় মাপের এই স্বাস্থ্য শিবিরের জন্য অতিরিক্ত লোকবলের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে শনিবারের বৈঠকে। তবে, কত সংখ্যক বেডের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে এই শিবিরে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।