বাংলার দিকে ধেয়ে আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। কলকাতা থেকে প্রায় ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অবস্থান করছে। পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরীয় গভীর নিম্নচাপই এই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসবে। আলিপুর আবহাওয়ার দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। ওই গভীর নিম্নচাপের অবস্থান এ দিন বিকেল তিনটে নাগাদ ছিল কলকাতা থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দূরে।
তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুলবুল একেবারে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশের দিকে সরে যেতে পারে। তবে রবিবারই এই ঘূর্ণিঝড় পশ্চিমবঙ্গের বেশ কাছে থাকবে। তাই বাংলার জন্য ‘সাইক্লোন ওয়াচ’ জারি করা হয়েছে। বুলবুলের প্রভাবে ৯ নভেম্বর অর্থাত্ শনিবার রাজ্যের উপকূলবর্তী সব এলাকায় হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আবহাওয়াবিদরা ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের গতিপথ নিয়ে বেশ ধন্দে রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে উড়িষ্যা-বাংলা-বাংলাদেশের দিকে বুলবুলের অভিমুখ থাকলেও এখন অভিমুখ বদলে হয়েছে বাংলা ও বাংলাদেশ।
এদিন মধ্য রাতেই গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণঝড়ের আকার নেবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শুক্রবার সকালের দিকে তা আরও শক্তি বাড়িয়ে ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নেবে। শনিবার তা অতি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের উপকূলের আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা। যদিও আলিপুরের আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা এ দিন বিকেল পর্যন্ত নির্দিষ্ট করে বলতে পারছেন না, ঠিক কোন জায়গায় বুলবুল আছড়ে পড়বে। তার গতিবেগই বা কত থাকবে তা নিয়েও স্পষ্ট কিছু জানায়নি হাওয়া অফিস।
পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টির তীব্রতার পাশাপাশি এবং ঝোড়ো হাওয়ার পরিমান বাড়বে। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বিশেষ করে দুই ২৪ পরগণা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার থেকেই উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘণ্টায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। মৎস্যজীবীদের সাগরে যেতে নিষেধ করেছেন হাওয়া দফতর৷