পুজোর মরশুম এবছরের মতো শেষের পথে। আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর বিসর্জন। চোখ ধাঁধানো শোভাযাত্রা সহকারে বিসর্জন হতে চলেছে আলোকনগরী চন্দনগরের জগদ্ধাত্রীর পুজোর প্রতিমাগুলির। সন্ধ্যে নামলেই শুরু হয়ে যাবে কার্নিভ্যাল। আলোকনগরী চন্দননগরে কার্নিভ্যাল ঘিরে এখন সাজ সাজ রব। কার্নিভ্যাল দেখার জন্য এখন চলছে জায়গা ‘বুকিং’য়ের পালা!
কার্নিভ্যাল দেখাকে উপলক্ষ করে অনেকে জায়গা বিক্রিও করছেন! বাইরে থেকে যাঁরা চন্দননগরে কার্নিভ্যাল দেখতে আসছেন, ৫০ টাকার বিনিময়ে তাঁরা তাঁদের চেয়ার বুক করতে পারবেন। শুধু তাই নয় কোথাও রাস্তায় কাগজ পেতে ইট চাপা দিয়ে জায়গা ‘বুক’ করে রাখা হয়েছে। কেউ আবার গতকাল রাতেই বাড়ির বাইরে দালানে, রাস্তায় প্লাস্টিক-চাদর পেতে জায়গা রেখে গিয়েছেন। সব মিলিয়ে এই বিসর্জনের উন্মাদনা তুঙ্গে।
এই শোভাযাত্রা প্রতি বছরের মতো এবারও সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন করতে তৎপর পুলিশ-প্রশাসন। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি এবং স্থানীয় পুরসভা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। নিরাপত্তা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। থাকছে ড্রোন, সিসিটিভি’র নজরদারি।
আজ চন্দননগরের প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা শুরু হবে সন্ধ্যা পাঁচটা নাগাদ। চলবে সারারাত ধরে। দুশো ঊনচল্লিশটি লরিতে আলোকসজ্জা ও প্রতিমা নিয়ে এই শোভাযাত্রা পরিক্রমা করবে গোটা শহর। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির অধীনে ১৭১টি জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির পুজো হয়।