এই মাসের ১৭ তারিখ অবসর নেবেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার আগে ছ’টি গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় শোনাবেন তিনি। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে অযোধ্যা মামলার রায়। ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে বিভিন রাজনৈতিক দলের নেতারা মানুষের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, রায় যাই হোক না কেন, শান্তি যেন বজায় থাকে। এদিন বহুজন সমাজবাদী সুপ্রিমো তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতীও শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। অযোধ্যায় আজ থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে ১২ হাজার পুলিশ।
এই অযোধ্যা মামলার রায় বেরোনোর পর যাতে দলের কোনও স্তরের কোনও নেতা মুখ না খোলেন, সে ব্যাপারে আজ সতর্ক করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে বর্ধিত ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের বিধায়ক ও সাংসদদের মমতা বলেছেন, এই বিষয়ে যা বলার তিনি বলবেন। আর কেউ যেন স্পর্শকাতর এই বিষয় নিয়ে কোনও কথা সংবাদমাধ্যমে না বলেন।
এদিন মমতা আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত নেতা-নেত্রীই শান্তি বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। আমিও তাই বলছি। আগে দেখি সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দিচ্ছে, তারপর যা বলার বলব।” মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই সময়ে তাঁর কর্মসূচিও রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ ও মুর্শিদাবাদে প্রশাসনিক বৈঠকের সূচি করা রয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি কী হয় তা দেখে নিয়েই ওই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলা সফরে যাবেন কিনা তা ঠিক করবেন। কিন্তু তাঁর অবর্তমানে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে যাতে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি না তৈরি হয় সে ব্যাপারে দলের সমস্ত স্তরের নেতাকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন মমতা।