বিজেপি নেতা-নেত্রী এবং বিতর্কিত মন্তব্য, এ একেবারে সমার্থক হয়ে উঠেছে। গেরুয়া শিবিরের কেউ বক্তব্য রাখবে আর তাতে হইচই পড়বে না তা এককথায় অসম্ভব। দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে কৈলাস বিজয়বর্গী, সায়ন্তন বসু থেকে অনুপম হাজরা, একের পর এক নাম উঠে আসবে বিতর্কের জন্য। এই তালিকায় এবার সংযোজিত হল অভিনেত্রী কাঞ্চনা মৈত্রের নামও। টলি দুনিয়ায় চেনা মুখ কাঞ্চনা সদ্যই যোগ দিয়েছেন পদ্মে। আর যোগদানের বেশিদিন যেতে না যেতেই এক্কেবারে ‘ফর্মে’ তিনি। তৃণমূলকে আক্রমণ করতে গিয়ে উস্কে দিলেন বিতর্ক।
বরানগরে একটি জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে কাঞ্চনা মৈত্র বলেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে লড়তে কোমরে তরোয়াল রাখুন’। এই মন্তব্যের পরেই শুরু হয় বিতর্ক। তবে এখানেই থামেন নি কাঞ্চনা। তাঁর কথায়, ‘যাঁরা বলেন তলোয়ার মানে সন্ত্রাস, তাঁরা মূর্খ। তাঁরা দেশের ইতিহাস ভুলে গিয়েছেন। তাঁরা প্রয়োজনে ক্লাস সেভেন এইটের বই খুলে দেখে নিন। সেখানে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, সেই সময় রাজারা দেশের শত্রুদের তলোয়ার দিয়ে বিনাশ করেছিলেন। সেই দিন আবার ফিরেছে। এ বার ফের তলোয়ার হাতে তুলে নিতে হবে।’
অভিনেত্রীর দাবি, ‘তৃণমূল সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তা থেকে বাঁচার একটাই উপায়। কোমরে তরোয়াল রাখতে হবে। সম্মুখসমরে শত্রুদের সমূলে বিনাশ করতে হবে।’ উপস্থিত সবাইকে তিনি বলেন, ‘আপনারাই সবাই শিবাজি, মহিলারা ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈ।’
কাঞ্চনার এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। সরব হয়েছে তৃণমূলও। বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় বলেছেন, ‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে অস্ত্রের জায়গা নেই।’