কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়া সম্ভব হয় নি। তবে কংগ্রেস মুক্ত মিউজিয়াম গড়ে ফেলল মোদী সরকার। দিল্লীর নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম ও লাইব্রেরি সোসাইটির পরিচালন সমিতি থেকে বাদ দেওয়া হল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ এবং করণ সিংকে। তাঁদের জায়গায় এলেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ টিভি সাংবাদিক রজত শর্মা, প্রসূন যোশি এবং আরও অনেকে। উল্লেখ্য, পরিচালন সমিতির নির্বাচন এখনও ৬ মাস বাকি। তার আগেই করা হল এই বদল।
এই পরিচালন সমিতির সভাপতি স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং সহ সভাপতি রাজনাথ সিং। সুতরাং এই ঘটনা তাঁদেরই মস্তিষ্কপ্রসূত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। জওহরলাল নেহেরু মিউজিয়ামের পরিচালন সমিতির নির্বাচনের ৬ মাস আগেই এমন রদবদল করায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিগত কয়েক বছর ধরে বিজেপি আলাদা আলাদা ঘটনায় নেহেরু এবং তাঁর ঐতিহ্য নিয়ে শুধু প্রশ্নই তোলেনি, বরাবর আক্রমণ ও করেছে। সেই জন্যই নেহেরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম এবং লাইব্রেরী থেকে কংগ্রেসের সদস্যদের সরিয়ে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
নতুন পরিচালন সমিতিতে আগতরা প্রত্যেকেই বিজেপি’র নেতা-মন্ত্রী এবং ঘনিষ্ঠ। তাঁরা হলেন–অমিত শাহ, নির্মলা সীতারামন, রমেশ পোখরিয়াল, প্রকাশ জাভড়েকর, ভি মুরলিধরণ, প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল, আইসিসিআর চেয়ারম্যান বিনয় সহস্রবুদ্ধ, প্রসার ভারতী চেয়ারম্যান এ সূর্যপ্রকাশ–সহ আরও অন্যান্য মন্ত্রকের সচিবরা। এছাড়া অন্যান্য সদস্যরা হলেন–রাঘবেন্দ্র সিং, অনির্বাণ গাঙ্গুলি, সচ্চিনন্দ জোশী, কপিল কাপুর, লোকেশ চন্দ্র, মকরন্দ প্রাণজপে, কিশোর মাকওয়ানা, কমলেশ জোশীপুরা এবং রিজওয়ান কাদরি। আগামী ৫ বছর তাঁরাই পরিচালন সমিতির দায়িত্ব সামলাবেন।