জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এখন থেকে শুধু ইংরেজি, হিন্দী এবং গুজরাটিতে। বাংলার কোনও জায়গা নেই। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির এই নয়া ত্রিভাষায় প্রশ্নপত্র তৈরি হওয়ার নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। এনটিএ-এর এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করে টুইট করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে অভিষেক লিখেছেন, ‘সংবিধান সমানাধিকারের সুযোগ দিয়েছে। তা হলে কেন শুধু ইংরেজি, হিন্দী ও গুজরাটি ভাষাকে সুযোগ দেওয়া হবে? বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, তেলুগু, তামিল ও মারাঠি ভাষায় ২০২০ সালে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা গ্রহণ করা হোক। ভাষাবৈষম্য সংবিধান বিরোধী’।
সর্বভারতীয় জয়েন্ট পরীক্ষায় অন্তত ১১ লক্ষ পরীক্ষার্থী প্রতি বছর বসেন। এই পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলাভাষী ও মারাঠিভাষী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্য ভাষার মধ্যে বেশি থাকে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই ত্রিভাষা চালু করার অর্থ, পরীক্ষার্থীদের ওপর ইংরেজির সঙ্গে হিন্দী এবং গুজরাটি ভাষা চাপিয়ে দেওয়া। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, গুজরাটিদের তুলনায় দ্বিগুণ বাঙালি ও তিন গুণ মারাঠি এই পরীক্ষায় বসে। তাহলে শুধু গুজরাটি কেন? বাংলা এবং মারাঠি ভাষায় প্রশ্ন কেন নয়? তাঁদের আরও প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গুজরাটি হওয়াতেই কি গুজরাটি ভাষাকে এই বিশেষ সুবিধা দেওয়া হল?