আগামী ২২ নভেম্বর ইডেনে দিন-রাতের টেস্টে আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর আগমনকে স্মরণীয় করে রাখতে সেদিন রাজকীয় মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করতে চলেছে সিএবি। শুধু হাসিনা নন, আগামী ২২ নভেম্বর ইডেনের ঐতিহাসিক ভারত-বাংলাদেশ টেস্টে আসছেন শচীন তেন্ডুলকর, রাহুল দ্রাবিড়-সহ ভারতের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়করা।
খুব অল্প সময়ের জন্য হলেও ইডেনে প্রথম দিন উপস্থিত থাকবেন হাসিনা। কী থাকবে তাঁর সেদিনের মধ্যাহ্নভোজে? গঙ্গার ইলিশ, পাবদা সর্ষে, ভেটকি পাতুরি, ডাব চিংড়ি। মাছের এই পদগুলি ছাড়াও দুই বাংলার প্রথামাফিক সব রকম জনপ্রিয় পদই থাকবে অতিথি আপ্যায়নে। যার মধ্যে থাকছে শুক্তো, আলু পোস্ত, ফুলকপির রোস্ট, ছানার ডালনা-সহ অন্তত ৫০-এর বেশি পদ। ভাত, রুটি, পোলাও, পায়েস, চাটনির মতো পদগুলি তো থাকছেই। যে-সব অতিথির মাছ পছন্দ নয়, তাঁদের জন্য থাকবে মুরগি ও খাসির হরেক রকম পদ। এ দিনই সিএবি কর্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে শহরের এক পাঁচতারা হোটেলের। ফাইনাল মেনু সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের বিশেষ পোশাক প্রস্তুতকারককে দিয়ে বানানো হচ্ছে ডিজাইনার শাড়ি। সঙ্গে থাকবে শাল। এ ছাড়া বাংলার ঐতিহ্য মেনে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও দেওয়া হবে বিশ্ব বাংলার নানা উপহার। এই টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে কোমর বেঁধে নেমেছেন সিএবি কর্তারা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে গোলাপি বলে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে রাজি করানো যদি প্রথম চমক হয়, দ্বিতীয় চমকটা সিএবি দিতে চাইছে ম্যাচের আয়োজনে তুমুল জাঁকজমক করে। মূল উদ্দেশ্য টেস্ট থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া দর্শককে পাঁচ দিনের ফর্ম্যাটে মাঠে ফেরানো।
টিকিট বিক্রি নিয়েও যথেষ্ট খুশি হওয়ার কথা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তথ্য বলছে, প্রথমদিনই অনলাইনে টিকিট বিক্রির হার আশাতীত ভালো। প্রায় সব টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে কয়েক ঘণ্টাতেই। এছাড়াও যে সোনার মুদ্রায় টস হবে, তার জন্য নামী গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে অভ্যাগতদের স্মরণিকা হিসেবে দেওয়ার জন্য থাকবে রুপোর মুদ্রা। ৬০ টি বিশেষ টাইও তৈরি করা হচ্ছে ভিভিআইপি অতিথিদের জন্য। সব মিলিয়ে বাস্তবিক ভাবেই নভেম্বরের শেষের দিকে এক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকতে চলেছে কল্লোলিনী কলকাতা।