‘দেশের অর্থনীতি যখন ডুবছে, তখন একমাত্র শাহ পরিবার ও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ঘনিষ্ঠ মানুষদেরই প্রকৃত বিকাশ হচ্ছে।’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহের সংস্থার আয় বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে এভাবেই বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। এদিন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় মুখপাত্র পবন খেরা বলেছেন, ‘২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই চার বছরে জয় শাহের সংস্থার আয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১১৬ কোটি টাকা। এটা কীভাবে সম্ভব? দেশের মানুষের প্রকৃত তথ্য জানার অধিকার আছে।’ অমিত-পুত্রের সংস্থার সম্পত্তি বৃদ্ধির খতিয়ানও এদিন পেশ করা হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।
পবন খেরা দাবি করেছেন, ‘২০১৫ সালে সংশ্লিষ্ট সংস্থার বার্ষিক আয় ছিল প্রায় ৩ কোটি ২৩ লক্ষ টাকা। মাত্র এক বছরের মধ্যেই ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ২৪ কোটি ১৬ লক্ষ টাকায়। ২০১৭ সালে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা। আর ২০১৯ সালে জয় শাহের সংস্থার আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১৯ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ গত চার বছরে ওই সংস্থার আয় বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ১১৬ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা।’
এদিন বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলে কংগ্রেস অভিযোগ করেছে, ‘সংশ্লিষ্ট সংস্থা ঠিক কী ব্যবসা করে, কেউ জানে না। কখনও বলা হয়, এটি শেয়ার বাজার সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। কখনও আবার অন্য কিছু বলা হয়। কিন্তু কোন পদ্ধতিতে একটি সংস্থার প্রায় ১৫ হাজার শতাংশ পর্যন্ত আয় বৃদ্ধি সম্ভব, তা সাধারণ মানুষ বুঝতে পারছেন না। সমস্ত সংস্থাকে প্রতি বছর ৩০ অক্টোবরের মধ্যে আইনি কাগজপত্র এমসিএ’তে জমা দিতে হয়। না দিলে শাস্তি এবং জরিমানা দুটোই হওয়ার কথা। অথচ জয় শাহের এই সংস্থা ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে এই সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র এমসিএ’তে জমাই দেয়নি। তারপরেও তাকে কোনওরকম শাস্তির মুখে পড়তে হয়নি।’ দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে অতীতেও বিজেপিকে একাধিকবার আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। এমনকী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জয় শাহের এই সংস্থার বিরুদ্ধেও এর আগে তোপ দেগেছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে দলের বিজেপি বিরোধিতা আরও চড়া সুরে বাঁধতে ফের তাদের সেই পুরনো ইস্যুকেই হাতিয়ার করছেন কংগ্রেস নেতারা।