বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে মোদী সরকারের বাজেটে যেমন তেমন কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ঠিক তেমনই চাহিদার মানোন্নয়নেও কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে পারেনি কেন্দ্র। আর এই দুই কারণেই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে ভারতের শিল্প সংস্থাগুলোকে। তলানিতে পৌঁছেছে পরিকাঠামো বৃদ্ধিও। তবে চাপের মুখে পড়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কেন্দ্র একাধিক পদক্ষেপ করলেও, অনেকেরই অভিযোগ এখনও কাজের কাজ কিছু হয়নি। যা মানতে নারাজ কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এনএসই-র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন মানলেন আবাসন শিল্পের দুরবস্থার কথা। যিনি সম্প্রতি ব্যাঙ্কিং মহলের সঙ্গে বৈঠকের পরে দাবি করেছিলেন, কোথাও চাহিদার অভাব থাকার কথা শোনেননি।
এবার সীতারামনের বার্তা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে জোট বেঁধে আবাসন শিল্পের সমস্যা মেটানোর পথ খুঁজছেন তাঁরা। এ দিনই আবার এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনায় শীঘ্রই কেন্দ্র আরও এক দফা সংস্কারের পথে হাঁটবে বলেও জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘সেই সব সংস্কার আনব, যেগুলি শেষ বার বাস ধরতে পারেনি। এবার আর মিস করব না।’ এনএসইতে নির্মলা এ কথাও স্বীকার করেছেন যে, বাজারে চাহিদা বাড়াতে আগস্ট থেকে কেন্দ্র যা যা ঘোষণা করেছে, আবাসন তার বাইরেই রয়ে গিয়েছে। আর শ্লথ ফ্ল্যাট-বাড়ি বিক্রির প্রভাব পড়েছে অন্য শিল্পে, বিশেষত পরিকাঠামোয়। নোটবাতিল, তার পরে জিএসটি। এই জোড়া ধাক্কা যে ব্যবসার কোমর ভেঙেছে, সেই অভিযোগ বার বার তুলেছে আবাসন শিল্প। এবার সে কথা একপ্রকার স্বীকারই করে নিলেন মোদীর মন্ত্রী।