জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশকে অগ্রাহ্য করে ছট পুজোর সকালে গেটের তালা ভেঙে সরোবর চত্বরে ঢোকে বহিরাগতরা। পুজোর নামে সরোবরে আবর্জনা ছড়ানো তো ছিলই। একইসঙ্গে চলেছে মুহুর্মুহু নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানো আর নিষিদ্ধ বিরাট আকৃতির সাউন্ড বক্সের অত্যাচার। পরবর্তী সময়ে যে ভয়টা পরিবেশপ্রেমীরা পেয়েছিলেন হয়েছে সেটাও। এতটাই দূষিত হয়েছে জল যে, তাতে মৃত্যু হয়েছে মাছ ও কচ্ছপের৷ সোমবার লেকের পারে ভেসে ওঠা সেই উঠল মরা মাছ ও কচ্ছপ৷ এই প্রেক্ষিতেই গর্জে উঠেছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের টুইটারে লিখেছেন, “ধর্ম কারও একার হতে পারে৷ কিন্তু উৎসব সকলকে নিয়েই হয়৷ এটা ভুললে চলবে না, উৎসবের নামে ভাঙচুর আদতে সেই ধর্মকেই ম্লান করে দেয়৷ ছটপুজোর কাণ্ডের জন্যে অত্যন্ত দুঃখিত, মর্মাহত”।
এই বছর রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ‘জাতীয় পরিবেশ আদালত’। ছটপুজোর দু’দিন রবীন্দ্র সরোবরের গেট বন্ধ থাকবে বলেও পোস্টার-ব্যানারে নির্দেশিকা জারি করেছিল কলকাতা পুরসভা বা কেএমডিএ। এই রায় মানার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কিন্তু ছটপুজোর সকালের চিত্রটা ছিল অত্যন্ত দুঃখজনক।
শনিবারের পর একই ছবি দেখা যায় রবিবারেও। সোমবার রবীন্দ্র সরোবরের জলেই ভেসে উঠল মরা মাছ, কচ্ছপ৷ দূষণের পরিমাণ মাপতে সরোবরের জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন পরিবেশকর্মীরা।