রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে ছাত্র সংগঠনগুলির বিক্ষোভের জেরে ক্রমশ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে জেএনইউতে। হস্টেলের ফি বৃদ্ধি মকুবের দাবিতে ক্রমশ মারাত্মক আকার ধারণ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিক্ষোভ। সোমবার ক্যাম্পাসে সিআরপি মোতায়েনের পর যেই বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। রাজনৈতিক মতাদর্শ নির্বিশেষে কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়েছে ছাত্র সংগঠনগুলি। আপাতত বিক্ষোভের জেরে ক্লাস বন্ধ। হস্টেলের ফি প্রায় দ্বিগুণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত যতক্ষণ না প্রত্যাহার করা হচ্ছে ততক্ষণ পরিস্থিতি অচল করে রাখার হুমকি দেওয়া হচ্ছে ছাত্রদের তরফে। অন্যদিকে ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তেও অনড় মনোভাব দেখাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
দুই তরফের টানাপড়েনের জেরে কাঠগড়ায় উঠেছে জেএনইউ উপাচার্য এম জগদেশ কুমারের নাম। গতকাল তাঁর বাসভবন ঘেরাও করে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখালেও তিনি নরম মনোভাব দেখাননি। এরপরই সোমবার থেকে উত্তর বসন্ত কুঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্ররা। তাঁরা চাইছে, উপাচার্য নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন এই মর্মে থানায় একটি এফআইআর দায়ের করতে দেওয়া হোক। কিন্তু, পুলিশ সেই এফআইআর দায়ের করতে নারাজ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সাকেত জানান, কর্তৃপক্ষ হস্টেল ফি প্রায় ১০০০ গুণ বাড়াতে চাইছে। এতে ক্যাম্পাসে থাকা অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছ্বল পড়ুয়াদের হস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে হবে। আমরা উপাচার্যের সঙ্গে একাধিকবার দেখা করতে চেয়েছি কিন্তু উনি রাজি নন। ফি বৃদ্ধি নিয়ে আমরা প্রতিবাদ কর্মসূচিও নিয়েছিলাম, কিন্তু উপাচার্য কিছুই শুনতে রাজি নন।’
অন্যদিকে এই অচলাবস্থার মধ্যে একটি লিখিত বিবৃতি দিয়ে উপাচার্য জানিয়েছেন, যা সমস্যা হয়েছে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। আমি বলব পড়ুয়ারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, বর্ধিত ফি এখনও লাগু হয়নি। কেবল খসড়া প্রকাশ পেয়েছে যা মারাত্মক অসন্তোষ সৃষ্টি করেছে ছাত্রদের মধ্যে। যা নিয়ে রবিবার থেকেই বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেছে ছাত্ররা। এই প্রস্তাব প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলন জারি থাকবে বলেই জানিয়েছে জেএনইউয়ের ছাত্র সংগঠন।