লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই গেরুয়া তান্ডবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। এই তান্ডবের শিকার কোথাও সাধারণ মানুষ, কোথাওবা আবার প্রশাসন। আর তাতেই বারেবারে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এদিন এডিএমকে স্মারকলিপি দিতে না পেরে আমলাদের রীতিমতো হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
উল্লেখ্য, জেলাশাসক প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় তিনি ওই স্মারকলিপি অতিরিক্ত জেলাশাসকের (উন্নয়ন) কাছে দেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তাঁরা অতিরিক্ত জেলাশাসকের (সাধারণ) কাছে যান। সেখানে তাঁকে না পেয়ে বিজেপি ক্ষোভ উগরে দেয়। পরে এক ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট স্মারকলিপি নিতে চান। কিন্তু তাঁরা স্মারকলিপি না দিয়ে চলে আসেন। এমনকি সাংসদ রীতিমতো আমলাদের হুমকি দিয়ে বসেন। আর সেই হুমকির ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিন পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনিক ভবনে দাঁড়িয়ে সাংসদ বলেন, “আমরা কয়েকটি দাবি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিতে এসেছিলাম। কিন্তু জেলাশাসক ব্যস্ত থাকায় আমাদেরকে এডিএমের কাছে স্মারকলিপি দিতে বলা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখলাম তিনি নেই। শুনলাম তিনি নাকি অসুস্থ। অথচ পাঁচ মিনিট আগে ছিলেন। এই সরকার, প্রশাসন আমাদের মুখোমুখি হতে চাইছে না। একজন গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে স্মারকলিপি নিতে চাইছে। তারা স্মারকলিপি নিতে ব্যর্থ। এরা ছেলেখেলা করছে। আমাকে বসতে পর্যন্ত বলা হয়নি। এইরকম অকর্মণ্য সরকার বেশি দিন চলতে পারে না। আমি খবরদারি করে দিয়ে যাচ্ছি। দিদি তো চলে যাবেন। আপনাদের কিন্তু চাকরি রয়ে যাবে। একবছর পর আমাদের সরকার আসবে। কিন্তু তখন বুঝে নেবেন কি হবে?”
জনসভা-সহ দলের নানান কর্মসূচিতে আমলাদেরকে এখন আক্রমণ করছে বিজেপি। এই জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপি আমলাদেরকে টার্গেট করেছে বলেছে বলে অভিযোগ। পুলিশের পাশাপাশি তারা সাধারণ প্রশাসনের কর্তাদেরকেও আক্রমণ করছেন। এদিন পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, “স্মারকলিপির সময় ছিল দুপুর আড়াইটে। ওই সংগঠন দুপুর দু’টোর আগেই আসে। আমি প্রশাসনিক কাজে ব্যস্ত থাকায় এডিএম ডেভেলপমেন্টের কাছে স্মারকলিপি দিতে বলি। কিন্তু তাঁরা এডিএম জেনারেলের কাছে যান। তবুও আমরা স্মারকলিপি নিতে চাই কিন্তু তারা চলে যান বলে শুনেছি।”