বর্তমানে বাংলা সিনেমার অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন সচেতন মহল। সিনেমা বানানোর পথে আসে অসংখ্য বাধা। প্রতিভাগুলো মরে যায় সিনেমা জগতের টানাপোড়েনের জাঁতাকলে। পাশাপাশি বন্ধ হতে চলেছে একের পর এক সিঙ্গেল স্ক্রীনের সিনেমা হল। সেখানে জায়গা করে নিচ্ছে হাতে গোনা কিছু মাল্টিপ্লেক্স। হিন্দী-ইংরেজি সিনেমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হলে শো পাওয়ার জন্য লড়ছে বাংলা সিনেমাগুলি। সিনেমা শিল্পে এহেন অবস্থার জন্য চলে দোষারোপের পালা। এইসব কিছু বিষয়ই হয়ে উঠেছে আর এক তথ্যচিত্রের বিষয়বস্তু।
তিন বছরের চেষ্টায় পরিচালক অয়ন চক্রবর্তীর প্রথম তথ্যচিত্রে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের সিনেমা হলগুলির কি অবস্থা। তাঁর ‘হাউজফুল’ ছবিতে সেই অবস্থারই সন্ধান চালিয়েছেন পরিচালক। ঠিক এই সময়ে দাঁড়িয়ে এই ছবিটার গুরুত্ত্ব আমাদের সকলের কাছে সমান। পরিচালকের জীবনে ছোট থেকেই সিনেমার এই অবস্থার প্রতি অগ্রসরকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। দক্ষিণ বারাসাতে মহামায়া এক এবং দুই প্রেক্ষাগৃহের ছবি চলা না চলা। তাকে টিকিয়ে রাখা। সবটাই পরিচালককে ভাবিয়েছে। সেটাই তাঁর কলমে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁর কলমে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের সিনেমা হল গুলির ঝাঁপ বন্ধের গল্প। ঠিক তেমনই আবার নতুন করে পথ চলার শুরুর গল্পও বটে।
তথ্যচিত্র নিয়ে আমাদের দেশে বড় একটা হাঁক ডাক হয় না। তবে এই সিনেমার বিষয়বস্তুর আকর্ষণ করবে সাধারণ মানুষ থেকে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত মানুষজনকে। বাংলা সিনেমার পীঠস্থান নন্দনের ৩ নম্বর প্রেক্ষাগৃহে চলবে ‘হাউজফুল’। তিরিশ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে বর্তমান বাংলার সিনেমা শিল্পের বা সিনেমা হলের গল্প দর্শকদের মনে আলোকপাত করবে।
মতামত লেখকের ব্যক্তিগত