ফোন ট্যাপিং নিয়ে গোটা দেশে তোলপাড় পড়ে গেছে গত কয়েকদিনে। ফোন ট্যাপিং করা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ফোনও ট্যাপ করা হয়েছে এমন অভিযোগও উঠেছে। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মুখ খুলেছিলেন রাজ্যপাল। তারপর থেকেই শোরগোল পড়ে যায় সর্বত্র। রাজ্যপালের এহেন কথার প্রেক্ষিতে আজ রাজ্যপালকে ‘দিদিকে বলো’-র হয়ে কাজ করার ‘পরামর্শ’ দেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। তিনি বলেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তাঁর কানে কোনও অভিযোগ এলে, তিনি তো দিদিকে বলোতে জানাতে পারেন!”
প্রসঙ্গত, শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, তাঁর ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। সেটা জানেন তিনি। প্রমাণও আছে। তাঁর ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারকে কী বলব! সবই তো জানে। এখন তো আর হোয়াটসঅ্যাপকে ভরসা করা যাচ্ছে না। পুরো নজরদারি চলছে।” ভারতের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীর উপর ইজরায়েলের স্পাইওয়্যার পেগসাসের নজরদারির খবর মিলেছে। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “এটা গুরুতর ব্যাপার। সরকারই এটা ইজরায়েলকে করতে দিয়েছে। যা ব্যবহার করছে এজেন্সির।”
সেই প্রসঙ্গেই রবিবার রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে ফের তির্যক মন্তব্য করেন জগদীপ ধনখড়। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে যায়। রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পর গতকালই পাল্টা মুখ খোলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জগদীপ ধনখড়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে তিনি বলেন, “কারা রাজ্যপালকে একথা বলেছেন। সেই তালিকা প্রকাশ করুন তিনি।” আজ ফের তৃণমূলের আরেক মন্ত্রী রাজ্যপালের উদ্দেশে পাল্টা তির্যক মন্তব্য করলেন।