লোকসভা ভোটের পর থেকেই তিনি প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ফের তিনি স্বমহিমায়। আজ বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মিলনীতে এসে এনআরসি নিয়ে বক্তব্য রাখলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একইসঙ্গে তিনি বাংলার মানুষদের এই বলে আশ্বস্ত করলেন যে, ‘শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত এনআরসি হতে দেব না।’ গত লোকসভা নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য ভাবে ভোট কমেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের, তা ফেরাতে সাংগঠনিক কর্মসূচি নির্দিষ্ট করে দিলেন দলীয় নেতৃত্বকে।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এনআরসি বিল নিয়ে প্রথম থেকেই সোচ্চার তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল কেন্দ্রীয় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত আমরা এনআরসি কোনও ভাবেই হতে দেব না। রাজ্যের যতদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, ততদিন কেন্দ্র কোনও ভাবেই এনআরসি লাগু করতে পারবে না এই রাজ্যে। আমরা সর্বতোভাবে এই কালা কানুন রুখব। বহু সাধারণ মানুষ আছে, আদিবাসী আছে যারা অন্যের জায়গাতে বসবাস করে। তাঁদের কোনও নিজস্ব কাগজপত্র কিছু নেই। তাঁরা কি এদেশে থাকতে পারবে না? কোনভাবেই সেটা সম্ভব নয়। এই দেশ সবার জন্য। পৃথিবীর বহু দেশেই এই আইন থাকলেও ভারতের মতো কালা কানুন কোথাও নেই। রাজ্যে যতদিন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকবেন, ততদিন কোনও চিন্তা নেই।’
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। সেই ভোট ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত বীরভূমের ১১ টি বিধানসভা এবং বর্ধমানের ৩ টি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে এদিন জেলার লোহাপুর এলাকার বর্ষীয়ান নেতা শেখ গিয়াসউদ্দিনকে পুনরায় জেলা কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হল। তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে বহুদিন রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে দূরে ছিলেন। শরীর ঠিক হতেই থাকে ফিরিয়ে আনা হল।