বিপদের সময় সেই বিপদের জন্য কে দায়ী, তা বিচার না করে কীভাবে বিপদ কাটবে সেই দিকেই নজর দেওয়া উচিত। তাই ধোঁয়ার জেরে সৃষ্ট দূষণের জন্য দায় কেন্দ্রের না রাজ্যের আপ সরকারের, এই বিতর্ক বন্ধ করে বায়ু দূষণের জেরে বিপর্যস্ত দিল্লীর দিকে নজর দেওয়ার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই পরামর্শ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, প্রতিবেশী রাজ্যে জমিতে থেকে যাওয়া খড় জ্বালানোর জেরে সৃষ্ট ধোঁয়ায় প্রতি বছর ব্যাপক বায়ু দূষণের শিকার হয় দিল্লী। যার জেরে শীর্ষ আদালত এদিন সুপ্রিম কোর্ট মান্যতাপ্রাপ্ত সংস্থা এনভায়রনমেন্ট পলিউশন প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল অথরিটি’ বা ইপিসিএ-এর দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে, একের অপরের দিকে আঙুল তোলা বন্ধ করে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিল।
এর পাশাপাশি, এদিন শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, কৃষকরা তাঁদের নিজেদের বেঁচে থাকার ও জীবিকার জন্য অন্য মানুষকে হত্যা করতে পারে না। তাঁদের এই কাজকে কখনই সহানুভূতির চোখে দেখা যেতে পারেনা। শুধু তাই নয়। হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের মুখ্য সচিবকে শমন পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। যাতে বলা হয়েছে, তিন রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসন যাতে জমিতে খড় জ্বালানোর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করে। আগামী বুধবারের মধ্যেই তিন রাজ্যের মুখ্য সচিবকে রিপোর্ট জমা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দিল্লীতে যেন একেবারেই লোডশেডিং না হয়, দিল্লি সরকারকে সেই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই পরিস্থিতিতে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশেও সব জেনারেটর বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লী জুড়ে জঞ্জাল জ্বালোনোয় ৫ হাজার টাকা ও নির্মাণ কাজ জারি রাখলে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করার ‘সুপ্রিম’ নির্দেশ এসেছে রাজ্য সরকারের কাছে।