শুক্রবার রাতে দুষ্কৃতীর গুলিতে জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিৎ মাইতির। তাঁর বাড়ি এই ঢোলখালি গ্রামেই। বিশ্বজিতের পরিবার চাইছে কুখ্যাত দুষ্কৃতী কেদার সরদারদের কঠিন সাজা। সন্দেশখালি ব্লক তৃণমূল নেতারা গিয়েছিলেন নিহত ভিলেজ পুলিশ বিশ্বজিতের বাড়িতে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবারের প্রতি তীব্র শোক প্রকাশ করে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন সিপিএমের হার্মাদরাই বিজেপি–তে ঢুকে সন্দেশখালিতে গন্ডগোল করেছে। এর জন্য দায়ী বিজেপি।
ফিরহাদ আরও বলেছেন, “সন্দেশখালির ঘটনায় জড়িতরা দাগি দুষ্কৃতী। এরা এক সময় সিপিএমে ছিল। লোক না পেয়ে বিজেপি এখন এদের দলে নিয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। ঘটনায় জড়িতদের কোঠর শাস্তি দেবে প্রশাসন”। মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “নিহত বিশ্বজিৎ যেহেতু ভিলেজ পুলিশ ছিলেন, সেকারণে তাঁর পরিবারের ক্ষতিপূরণের বিষয়টি সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তবে দল তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে।’ খাদ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “এই অশান্তির মূলে রয়েছে বিজেপি–র প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন। এখানে তৃণমূলই আক্রান্ত। জখম হয়েছেন তৃণমূল কর্মী বিনোদ হাউলি। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক”।
এদিন নিহত বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছিলেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ শাহজাহান, শিবু হাজরা প্রমুখ। শাহজাহান বলেন, ‘শান্ত এলাকাকে অশান্ত করছে বিজেপি। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আমাদের দলের কর্মীরা রুখে দাঁড়িয়েছিল। তাঁদের ওপর গুলি চলেছে। তারপর দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ গেলে তাদের আক্রমণ করা হয়েছে।’
তৃণমূলের একটি প্রতিনিধি দল এদিন নিহত বিশ্বজিতের বাড়িতে গিয়েছিল। দলের তরফে এবং জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ওই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা জানান খাদ্যমন্ত্রী। তিনি আগেই বলেছিলেন, ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেখানে কোনও দল দেখা হবে না।’ এই প্রসঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসুও বলেছেন, ‘দুষ্কৃতীদের কোনও জাত হয় না। ঘটনায় ইতিমধ্যে দু’জন ধরা পড়েছে। রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা যথেষ্ট ভাল।’