এক ধাক্কায় ১৮৯২টি পদ অবলুপ্তি নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই মূল্যায়ন সংক্রান্ত নির্দেশিকার চিঠি আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল পূর্ব রেলের নিচু তলার কর্মীদের। যে-সব কর্মীর বয়স ৫৫ বছর পেরিয়ে গিয়েছে অথবা যাঁদের চাকরির আয়ু ৩০ বছর হয়ে গিয়েছে, তাঁদের মূল্যায়নের কাজ দ্রুত শেষ করতে বলেছেন রেল-কর্তৃপক্ষ।
মাসখানেক আগে পূর্ব রেলের হাওড়া, শিয়ালদহ, আসানসোল এবং মালদহ ডিভিশন ছাড়াও কাঁচরাপাড়া, লিলুয়া এবং জামালপুর ওয়ার্কশপে পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি স্তরের কর্মীদের কাজকর্মের মূল্যায়ন দ্রুত শেষ করতে হবে। যাতে বাধ্যতামূলক অবসরের প্রক্রিয়া চালু করে দেওয়া যায়।
‘পার্সোনেল’ বা কর্মিবর্গ দফতরের তরফে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মীদের মধ্যে আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে যাঁদের বয়স ৫৫ হয়ে যাচ্ছে, তাঁদের কাজের মূল্যায়ন দ্রুত শেষ করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। পাশাপাশি, আগেই ৫৫ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে, এমন কর্মীদেরও ওই মূল্যায়নের আওতায় আনতে বলা হয়েছে। তবে যাঁদের কাজের মূল্যায়ন আগে হয়ে গিয়েছে, তাঁদের এ বার ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যাঁদের চাকরির আয়ু ৩০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে অথবা আগামী জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে ওই সময়সীমা স্পর্শ করবে, তাঁদেরও মূল্যায়নের আওতায় আনা হচ্ছে। সেই জন্য বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে। তারা যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখবে। কাজের মূল্যায়নের পাশাপাশি কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে কোথাও কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গ বা দুর্নীতির অভিযোগ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রেলের কর্মী ইউনিয়গুলির অভিযোগ, ভবিষ্যতে কর্মী সঙ্কোচনের পথ প্রশস্ত করতেই ওই উদ্যোগ। ‘আর্থিক দায় কমিয়ে রেলকে দ্রুত বেসরকারিকরণের দিকে ঠেলে দিতেই এই কাজ করা হচ্ছে,’ বলেন ইস্টার্ন রেলওয়ে মেনস ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সূর্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়।