স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রীর বিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাড়ি থেকে খবরটা কানে আসতেই উদ্যোগী হন প্রধান শিক্ষক। শেষ অবধি তাঁর চেষ্টাতেই এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যস্থতায় বন্ধ হল নাবালিকার বিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে মথুরাপুরে। এই নিয়ে মোট ৫৩টি নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করলেন প্রধান শিক্ষক চন্দন কুমার মাইতি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মথুরাপুরে বাসিন্দা ওই নাবালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। দিন কয়েক আগে ওই ছাত্রী জানিয়েছিল, তাঁর অমতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাড়ির লোক। এর কয়েকদিন পর থেকে স্কুলে আসছিল না ওই ছাত্রী। প্রধান শিক্ষক খবর নিয়ে জানতে পারেন শুক্রবার তাঁর বিয়ের আয়োজন করেছে পরিবার। ওই দিনই মথুরাপুরের বিডিও জামিল আখতারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি চলে যান মেয়েটির বাড়ি। সেই সঙ্গে খবর দেন স্থানীয় থানায়।
সেখানে গিয়ে প্রথমে তিনি সেই ছাত্রীর পরিবারের কাছে বিয়ে বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করেন। প্রথমে তাঁর কথায় সকলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামলায় এবং নাবালিকাকে উদ্ধার করে। নাবালিকাকে উদ্ধার করার পর প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, এই নিয়ে তিনি মোট ৫৩টি নাবালিকা বিয়ে বন্ধ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত ওই ছাত্রী সাবালিকা হচ্ছে ততদিন তিনি তার পড়াশোনার দায়িত্ব নেবেন। সেইসঙ্গে উদ্ধার হওয়া ছাত্রীর জন্য ছাত্রীনিবাসের ব্যবস্থাও করেছেন তিনি।