রাজধানীর মূল সমস্যা হল হল দূষণ। এর আগেও একাধিকবার এই একই সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে খেলোয়াড়দেরও। বর্তমানে আবারও একবার দিল্লীর বায়ুদূষণ শীর্ষে উঠে এসেছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছিল, বৃষ্টি হলে দূষণের মাত্রা কমে যাবে অনেকটাই। কিন্তু শনিবার বিকালে একদফা বৃষ্টির পরও রাজধানী দিল্লীর পরিস্থিতি বদলায়নি এতটুকু। বরং আরও গাঢ় হয়েছে ধোঁয়াশা। ফের ৬০০ ছাড়িয়েছে বাতাসের গুণমান সূচক।
এমন পরিস্থিতিতে এ দিন বাতিল ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একাধিক বিমানের উড়ান বাতিল হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখে তাই ফের আগামী কাল থেকে রাজধানীতে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার।
একিউআই ০ থেকে ৫০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকুল বলে ধরা হয়। দু’দিন আগেই রাজধানীর একিউআই তা ছাপিয়ে ৬০০ ছুঁয়েছিল। সেই তুলনায় এ দিন সকালে পরিস্থির সামান্য উন্নতি হয়েছিল। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ দিল্লীর একিউআই ছিল ৪৪৭। কিন্তু বেলা বাড়তেই ফের আঁধার ঘনিয়ে আসে। সকাল ১০টায় একিউআই পৌঁছে যায় ৬২৫-এ।
দিল্লীর প্রায় সর্বত্রই এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পশ্চিমের ধীরপুরে একিউআই দাঁড়িয়েছে ৫০৯, দিল্লি ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় সূচক ৫৯১ ছুঁয়েছে। চাঁদনি চক এবং লোধি রোডে একিউআই যথাক্রমে ৪৩২ এবং ৫৩৭। একই পরিস্থিতি ছিল দিল্লি সংলগ্ন নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের।