হাতে গুণে আর বাকি কয়েকটা দিন। ফের একবার নির্বাচনী যুদ্ধে নামতে চলেছে বাংলা। মাত্র তিনটি আসনে বিধানসভা উপনির্বাচন ঠিকই। তবে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক আবহ যেরকম, তাতে এই তিন আসনের নির্বাচন যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা আলাদা করে না বললেও চলে। বিশেষ করে হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিজেপির ভোট কমার পর বাংলায় গেরুয়া শিবিরের অ্যাসিড টেস্ট। পাশাপাশি তৃণমূলের জন্যও এই ভোট কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কেননা লোকসভায় উত্তরে ভরাডুবি ও দক্ষিণে মোটামুটি ফলাফলের পর এই প্রথম ভোট যুদ্ধে নামছে শাসকদল। এই দুই দল বাদে আরও একজনের অ্যাসিড টেস্ট হিসেবে দেখা হচ্ছে তিন বিধানসভা আসনের এই উপনির্বাচনকে। তিনি হলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কুমার।
পিকে দায়িত্ব নেওয়ার পরই জনসংযোগ বাড়াতে একাধিক টোটকা দিয়েছিলেন ঘাসফুল শিবিরকে। যার কিছু কিছু সুফল মেলা শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে কাজ সবে শুরু করেছেন প্রশান্ত ও তাঁর টিম। আর সেই কারণে প্রথম অ্যাসিড টেস্টই ফুল মার্কস নিয়ে পাশ করা একটা চ্যালেঞ্জও বটে। ফলে ইতিমধ্যেই টিম পিকে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে। নির্বাচনী প্রচারের খুঁটিনাটি থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়েই রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে, এই তিন আসনের উপনির্বাচনে তৃণমূলের রণনীতিকারের ভূমিকা নিয়েছেন প্রশান্ত খোদ। দল কীভাবে প্রচার করছে, প্রচারে কারা থাকছে, কতক্ষণ সময় প্রচারের পিছনে ব্যয় করা হচ্ছে, সব তথ্য রিপোর্টের আকারে নিজের দফতরে চেয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। এমনকী, কোন প্রার্থী নিজেদের অঞ্চলে কী ইস্যুতে প্রচার করবেন সেটারও একপ্রকার ব্লু-প্রিন্ট এঁকে দিয়েছেন তৃণমূলের ভোট কুশলী। একই সঙ্গে আরেকটি সূত্র জানাচ্ছে, তিনটি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে তৃণমূলের ভোট পরিচালনার পুরো দায়িত্বই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন প্রশান্ত। এবার তিনি কত নম্বর দিয়ে এই পরীক্ষা পাশ করেন সেটার জবাব সময়ই দেবে।