সরকার গঠন করা নিয়ে বিজেপির ওপর চাপ অব্যাহত রাখছে শিবসেনা। নিজেদের অবস্থানে দৃঢ় থেকে ক্রমশই বিজেপিকে আরও কোণঠাসা করছে তাঁরা। মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে অনড় থাকা শিবসেনা এ বার বড় বিজেপির বিরুদ্ধে ‘মুঘলদের মতো হুমকি’র অভিযোগ আনল।
সরকার গঠন নিয়ে বিজেপির ওপরে প্রবল চাপ বাড়িয়েছে শিবসেনা। বেশ কয়েকদিন ধরে বিজেপিকে লক্ষ করে একের পর এক তোপ দেগে চলেছে উদ্ধব ঠাকরের দল। কিন্তু গোল বাধিয়েছেন রাজ্যের বিজেপি নেতা সুধীর মুগান্তিয়র। শুক্রবার তিনি বলেন, ক্রমশ রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকে এগোচ্ছে মহারাষ্ট্র। এতেই ক্ষুব্ধ শিবসেনা শিবির।
বিজেপির ওই মন্তব্যের জেরে সঞ্জয় রাউত বলেন, ওই ধরনের মন্তব্য করে জনাদেশকে অপমান করছে বিজেপি। দেশের রাষ্ট্রপতি একজন সাংবিধানিক পদাধিকারি। সেই পদের অপব্যবহার করা দেশের গণতন্ত্রের পক্ষে অপমানজনক। শিবসেনার দলীয় মুখপত্রে লেখা হয়েছে, ‘যাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারে না, তাঁদের মুখেই আবার রাষ্ট্রপতির শাসনের হুমকি। এদের আচরণ এমন, যেন শাসক হিসেবেই তারা জন্মেছে।’
যুযুধান দুইপক্ষের মধ্যে যখন এই উষ্ণ সওয়াল জবাব, তখন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের মন্তব্য পরিস্থিতিকে আরও ঘোরালো করেছে। মরাঠা স্ট্রংম্যান শুক্রবার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘শিবসেনা বলছে ৫০-৫০ ফর্মুলার প্রতিশ্রুতি পেয়েই ভোট ময়দানে নেমেছিল। বিজেপির উচিত সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা। আমরা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়ার সময়ে ১৫ দিন মতো সময় নিয়েছিলাম।’’
দীপাবলিতে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন সঞ্জয় রাউত। এনিয়ে আরও তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক জল্পনা। এনিয়ে রাউত বলেন, রাজ্যে বর্তমানে যেরকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলছে তাতে সব দলই একে অপরের সঙ্গে কথা বলছে। পাওয়ারকে দেওয়ালির শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছিলাম। সেই ফাঁকে ররাজ্যের রাজনীতি নিয়েও কথা হয়েছে।