মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন ছাড়াই কোনও কোনও দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ। তার জেরে বৃহস্পতিবার নির্দেশিকা জারি করে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলিকে সতর্ক করলেন রাজ্যের অর্থসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। ভবিষ্যতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তার দায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও আমলাদের উপর বর্তাবে বলে নির্দেশিকায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এদিনই পর্যটন সচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং পর্যটন উন্নয়ন নিগমের এমডি তন্ময় চক্রবর্তীকে বদলি করা হয়েছে। অত্রি ভট্টাচার্যকে পাঠানো হয়েছে ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরে এবং তন্ময় চক্রবর্তীকে করা হয়েছে ডিরেক্টর (ইএসআই)। অত্রি ভট্টাচার্যের জায়গায় নয়া পর্যটন সচিব হচ্ছেন নন্দিনী চক্রবর্তী। নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহাকে একটি নোট পাঠিয়ে জানান, তাঁকে না জানিয়ে বেশ কিছু দপ্তর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। তারপরেই মুখ্যসচিব অর্থসচিবকে মেমোরান্ডাম জারি করার নির্দেশ দেন বলে জানা গিয়েছে। সেই মেমোতে নির্দেশ, মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে কোনও দপ্তর সিদ্ধান্ত নিলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
সূত্রের খবর, এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকা মেনে চলার কথা জানিয়ে সার্কুলার জারি করেন। অর্থসচিব সব দপ্তরকে সতর্ক করেছেন, এবার থেকে রাজ্যের যাবতীয় নীতিগত সিদ্ধান্ত মুখ্যসচিবের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তা পেশ হবে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে।