আজ সাত সকালে দিল্লীর ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ উদ্ধারকে ঘিরে ছড়াল আতঙ্ক। গতকাল মধ্যরাতে বিমানবন্দরের ৩ নম্বর টার্মিনালের ৪ নম্বর থামের কাছে বেঞ্চের নীচে পরিত্যক্ত একটি কালো রঙের ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা। বিষয়টি প্রথম দেখতে পান ভিকে সিং নামে এক সিআইএসএফ কন্সটেবল। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিককে বিষয়টি জানান তিনি। যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে ব্যাগের ভিতর আরডীএক্স আছে বলে সংকেত মেলে। এর পর পুলিস কুকুরও একই ইঙ্গিত দেয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সকলে। খবর দেওয়া হয় বম্ব ডিটেকশন ও বম্ব স্কোয়াডকে। নিরাপত্তাজনিত কারণে বিমানবন্দরে ঢোকা ও বেরনোর রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা বিমানবন্দর। আশপাশ খালি করেও দেওয়া হয়। জানা গেছে ব্যাগের মধ্যে থাকা বিস্ফোরকটি এতটাই শক্তিশালী যে বিস্ফোরণ ঘটলে আশপাশের বহু লোকের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত। দিল্লী বিমানবন্দরে এহেন ঘটনা ঘটায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়িয়েছে প্রশাসনে। গোটা রাজধানীর নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কে বা কারা ব্যাগটি রেখে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সূত্রের সন্ধান করছেন গোয়েন্দারা।
ব্যাগটিকে ইতিমধ্যেই কুলিং পিট-এ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের রাখা হবে ওই বিস্ফোরক। তার পরই বলা যাবে সেটি ঠিক কী ধরনের। তবে বিস্ফোরকটি ইমপ্রোভাইসড একপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)-ও হতে পারে বলে ধারণা তদন্তকারীদের।
সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢুকে পড়েছে শ’দুয়েক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাক জঙ্গি। সম্প্রতি সতর্কবার্তা এসেছে গোয়েন্দা বিভাগের কাছে। সূত্রের খবর, আইএসআই ও পাক সেনার কমান্ডার পদাধিকারীদের নির্দেশ ও মদতেই যাবতীয় পরিকল্পনা ও কাজ করছে তারা। বাইরে থেকে আসা সন্ত্রাসবাদীদের দেশে ঢোকানো, লুকিয়ে রাখা, তাদের সমস্ত ধরনের রসদ জোগাচ্ছেন তাঁরাই। কয়েকদিন আগেই গিয়েন্দার সতর্ক করেছিলেন যে রাজধানী-সহ দেশের একাধিক বড় শহরে হামলার ছক কষছে পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদীরা। সেই সতর্কবার্তা যে কতটা সঠিক তা এদিনের ঘটনা প্রমাণ করল। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর থেকেই হামলা চলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাক জঙ্গিরা। বিগত কয়েকদিনে কাশ্মীর উপত্যকায় পাঁচ বাঙালি মজদুরের হত্যা-সহ একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকে জঙ্গিরা দিল্লীর উদ্দেশে সড়ক পথে পাড়ি দিতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।