জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নের ‘রোড ম্যাপ’ তৈরি করে ফেলেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। নতুন নীতিতে পাঠ্যক্রমে আমূল সংস্কারের কথাও বলা হয়েছে। তবে জাতীয় শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়াতেও বেশ কিছু আপত্তির জায়গা রয়ে যাচ্ছে বলে মত শিক্ষামহলের। এতে মূলত ৬টি দিকের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। কোন কোন বিষয়গুলি অগ্রাধিকার পাবে, তাও ঠিক করা হয়েছে৷ রাজ্যগুলির আপত্তিতে বেশ কিছু সংশোধনী হয়েছে ঠিকই। কিন্তু স্বাধিকারে হস্তক্ষেপের ফাঁকফোকরও রয়ে গেছে বলে মত অধিকাংশ শিক্ষাবিদেরই। ২০৩০ সালে এই শিক্ষানীতি পুনর্মূল্যায়নের কথাও বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২১ সেপ্টেম্বর ক্যাব-এর মিটিংয়ে রাষ্ট্রীয় শিক্ষা আয়োগ(আরএসএ) গঠনের বিরোধিতা করা হলেও, তা তৈরি হচ্ছে বলেই জানা গেছে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে এর মাথা রাখা হচ্ছে না। কারণ ক্যাব বাতিল করে আরএসএ তৈরি করা হচ্ছে, যার মাথায় থাকবেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীই। এতে আরও কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও থাকবেন। পালা করে কিছু রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও রাখা হবে। থাকবেন কিছু শিক্ষাবিদও। শিক্ষামহলের আশঙ্কা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা তো নিজের সরকারের পক্ষে অনুকূল শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করতে চাইবেনই। তাতে নিরপেক্ষতা বজায় থাকবে কী? উঠছে এমন প্রশ্নই।
তাছাড়া, কেন্দ্রের ‘গুডবুকে’ থাকা মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষাবিদরা যে আলাদা কিছু করবেন, এমন সম্ভাবনাও নেই। আর সর্বোপরি, গোটা শিক্ষাব্যবস্থাটাই আমলাকেন্দ্রীক হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আবার জাতীয় শিক্ষানীতির চূড়ান্ত খসড়ায় ভারতীয় ভাষা শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। যা দেখে শিক্ষাবিদদের আশঙ্কা, এতে মধ্যযুগীয় বস্তাপচা বিষয়বস্তুর জাবর কাটার কাজটা হবে না তো! কারণ, এই বিষয়টি কারও নজর এড়ায় না যে, মাঝেমধ্যেই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী-সহ অন্যান্য দফতরের মন্ত্রীরা বেদ-পুরাণের সঙ্গে বিজ্ঞানকে মিলিয়ে অদ্ভূত সব দাবি করে বসেন।