মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বাসিন্দা শ্রমিক মুরসালিম শেখ, রফিক শেখ, কামিরুদ্দিন শেখ, নইমুদ্দিন শেখ ও রফিকুল শেখের বাড়ি ফেরার কথা ছিল আজই। বাড়ি ফিরছেন ঠিকই কিন্তু শুধুই নিথর কয়েকটি দেহ৷ সাগরদিঘিতে এখন শুধুই কান্নার আওয়াজ৷ আজই বাড়ি ফেরার কথা ছিল আরেক শ্রমিক জহুরুদ্দিন কুলগামের হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন৷
কাশ্মীরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৫ শ্রমিক নিজেদের ভাড়া বাড়িতে ছিলেন৷ তখনই জঙ্গীরা ঢোকে৷ প্রত্যেককে টেনে হিঁচড়ে বাইরে নিয়ে আসে৷ তারপর সার বেঁধে দাঁড় করিয়ে গুলি করে৷ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৫ শ্রমিকের৷ একজন গুরুতর অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে৷ গত ১৫ দিনে এই কাশ্মীরে ১১ জন ভিনরাজ্যের শ্রমিককে খুন করল জঙ্গীরা৷
এখন কাশ্মীরে মূলত আপেল চাষের মরশুম৷ বেশি আয়ের আশায় বাংলা ও বিহার থেকে প্রচুর শ্রমিক যান এই সময় কাশ্মীরে৷ আপেল চাষের কাজ করেন তাঁরা৷ অনেকে বাড়ি তৈরি বা অন্যান্য কাজও করেন৷ আজ সাগরদিঘিতে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী৷
কাশ্মীরে গিয়েছিলেন শ্রমিক শেখ মিরাজ৷ ফিরে জানালেন কী ভয়াবহ পরিস্থিতি৷ প্রতিদিন জীবন বাজি রেখে করতেন কাজ৷ তিনি বললেন, “৩৭০ ধারা বাতিলের পরে অত্যাচার বাড়ে৷ অন্য রাজ্যের বাসিন্দাদের হুমকি দিত জঙ্গীরা”।