স্বপ্ন সত্যি হল না। কার্যত তীরে এসে তরী ডুবল মোহনবাগানের। চট্টগ্রামে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক কাপের সেমি-ফাইনালে মালয়েশিয়ার সাত নম্বর ক্লাব তেরেঙ্গানু এফসি’র কাছে লজ্জাজনকভাবে হারল মোহন বাগান।শেষ ৩০ মিনিট লি টুক আর মহম্মদ সাফির গতির কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হল ভিকুনা-ব্রিগেড। এই পর্বে ফিটনেসের অভাবে মোহন বাগানকে ভুগতে হল।
দু’বার পিছিয়ে পড়েও সমতায় ফেরার পর শেষ পর্যন্ত বিশ্রী হারলেন জোসেবা বেইতিয়ারা, মূলত রক্ষণের দোষে। মালয়েশিয়ার প্রিমিয়ার ডিভিশনের ক্লাব তেরেঙ্গানু এফ সি-র ইংল্যান্ডজাত মিডিয়ো লি টাক হ্যাটট্রিক করলেন। তাঁকে আটকাতেই পারলেন না ড্যানিয়েল সাইরাস, ফ্রান মোরান্তের মতো বিদেশি ডিফেন্ডাররা। লি-র শেষ গোল অবশ্য পেনাল্টি থেকে। পুরো রক্ষণকে বোকা বানিয়ে মোহনবাগান বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন লি। কিছু করতে না পেরে অসহায় গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদার তেরেঙ্গানু অধিনায়কের পা টেনে ফেলে দেন। সালভা চামোরোকে বাইরে রেখে রক্ষণ জমাট করেছিল সবুজ মেরুন।
বিরতি পর্যন্ত সুহের ভিপিরা পিছিয়ে ছিলেন ০-১ গোলে। বিরতির পর খেলা শুরু হতেই পেনাল্টি থেকে ১-১ করে দেন ফ্রান গঞ্জালেস। ব্রিটো পি এম কে ফাউল করেছিলেন তেরেঙ্গানুর এক ডিফেন্ডার। এরপর দুটো দুটো অসাধারণ সেট পিসের সাক্ষী থাকলেন দর্শকরা। মোহনবাগানের ছয় জনের মানব প্রাচীর টপকে অসাধারণ একটি সোয়ার্ভিং শটে গোল করে যান লি। ২-১ এগিয়ে থাকা অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দুমিনিটের মধ্যেই সমতায় ফেরে মোহনবাগান। বেইতিয়ার কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ফ্রান গঞ্জালেস। ২-২ অবস্থায় রক্ষণের দোষে ফের আরও দু’টি গোল হজম করতে হল মোহনবাগানকে।
লি ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীতে খেলেছিলেন। মাঠের পরিবেশ ছিল তাঁর জানা। স্বাভাবিকভাবেই লি টুকের বেশ কিছু অনুরাগী আছেন বাংলাদেশে। তাঁর তিনটি গোলের সময়েই গ্যালারিতে দেখা গেল বাংলাদেশিদের উল্লাস। ব্লকার হিসাবে শিলটন ডি’সিলভা সুপার ফ্লপ। ফ্রান্সিসকো মুনোজের ছেড়ে যাওয়া জায়গা ভরাট করতে ব্যর্থ বেইতিয়া। ২১ এবং ৩৪ মিনিটে তেরেঙ্গানুর আরেক বিদেশি ব্রুনো দুটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে আরও লজ্জায় পড়ত মোহন বাগান। এই ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের অভাব দেখা গিয়েছে গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদারের মধ্যে।