বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করেই শিবসেনা চেয়েছিল ‘রোটেশনাল’ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পরেই মহারাষ্ট্রের রাজনীতিটা পুরোপুরি বদলে দিল বিজেপি। শিবসেনার চাহিদাকে কোনও আমল না দিয়েই দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ঘোষণা করে দিলেন, পরের ৫ বছর মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন তিনিই। এই প্রেক্ষিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভা নিয়ে তোলপাড় শুরু। শিবসেনা কিছুতেই নিজেদের জায়গা থেকে নড়তে রাজি নয়। অন্যদিকে বিজেপিও অনড়। এই পরিস্থিতিতে কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দিল কংগ্রেস। শিবসেনার সঙ্গে জোটের প্রস্তাব খুলে দিল তারা।
মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস নেতা পৃথ্বীরাজ চৌহান জানিয়েছেন, শিবসেনা যদি জোটের প্রস্তাব নিয়ে আসে, তাহলে সেই প্রস্তাব ভেবে দেখবে কংগ্রেস। এমনকি, কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বও শিবসেনার প্রস্তাব ভেবে দেখতে রাজি আছে। এর আগে শরদ পাওয়ারের এনসিপি শিবসেনাকে জোটের প্রস্তাব দিয়েছিল। এবার কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আসায় মহারাষ্ট্রের অ-বিজেপি সরকার গঠনের চেহারা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বিধানসভায় বিজেপি-শিবসেনা জোট জিতে সরকার গঠনের দোরগোড়ায়। কিন্তু শিবসেনাকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠনে রাজি নয় বিজেপি। শিবসেনার দাবি, ভোটের আগে অমিত শাহর সঙ্গে ৫০-৫০ চুক্তি হয়েছিল তাঁদের। সেই চুক্তির কথা তুলে ধরেই আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রিত্ব দাবি করছে তারা। এটাই মানতে নারাজ বিজেপি। আর যত গন্ডগোল বেঁধেছে এখানেই।
মহারাষ্ট্রের অবস্থা এমন হয়ে আছে যে, বিজেপি এককভাবে সরকার গঠন করতে পারবে না। নির্দলের সমর্থনও আশা মেটাতে পারবে না গেরুয়া শিবিরের। এই প্রেক্ষিতেই ঝোপ বুঝে কোপ মারতে চাইছে শিবসেনা। তারা যদি জোট থেকে বেরিয়ে যায় তবে বিজেপির জন্য অবস্থা আরও সঙ্গীন হবে রাজ্যে। এই ব্যাপার বুঝে গিয়েই শিবসেনাকে জোটের জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে এনসিপি-কংগ্রেস। তবে তাদের জোট প্রস্তাব নিয়ে শিবসেনার পক্ষ থেকে এখনও কিছু মন্তব্য করা হয়নি।