গতকাল সকালেই কাশ্মীরের পরিস্থিতি সচক্ষে খতিয়ে দেখতে সেখানে পা রেখেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ এর মধ্যেই কাল সন্ধ্যার দিকে উপত্যকার কুলগাম এলাকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন মুর্শিদাবাদের ৫ শ্রমিক৷ সেই ঘটনায় আজ দুঃখপ্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷ কুলগামে শ্রমিক হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন তাঁরা৷ এই প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, আমরা আপনাদের বন্ধু৷ আমরা এখানে এসেছি আসল পরিস্থিতি জানার জন্য৷
কিন্তু ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের কাশ্মীর সফর নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে৷ অভিযোগ, তাঁদের রুট ম্যাপ আসলে ছকে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী৷ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত পথেই তাঁরা কাশ্মীর বিহার করলেন৷ গতকাল উপত্যকায় এসে প্রথমে তাঁরা নাগরিক সমাজ, বাণিজ্যিক সংস্থা ও কাশ্মীরের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলেননি৷ ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের ২ সাংসদের অভিযোগ, প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের৷
কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল সেখানে যায়৷ তাঁদের শ্রীনগর বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়৷ তাঁরা দিল্লি ফিরে আসতে বাধ্য হন৷ গুলাম নবি আজাদকেও বিমানবন্দরে আটক করা হয়৷ তিনি উপত্যকায় যাওয়ার চেষ্টা করেন৷ এরপর গতকাল সেখানে গেলেন বিদেশি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা৷
আর তাঁদের সফরের মধ্যেই জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন বাংলার ৫ শ্রমিক৷ কাশ্মীরে হিংসার বাতাবরণ নেই বলে বারবার দাবি করেছে মোদী সরকার৷ ৩৭০ ধারা বাতিল করার পরও কাশ্মীরে নাকি রক্তপাত হয়নি, এমনটাই দাবি ছিল কেন্দ্রের৷ তাহলে এভাবে জঙ্গিদের গুলিতে কেন প্রাণ গেল বাংলার শ্রমিকদের? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।