কালো টাকা দেশে ফেরানোর লক্ষ্য নিয়েই ২০১৬ তে নোটবন্দি করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। শয়ে শয়ে মানুষ মারা গেলেও, সেই কালো টাকা ফেরেনি। এদিকে তথ্য বলছে এখনও কালো টাকার পাহাড় রয়েছে এই দেশে। সেই কালো টাকা দিয়ে বাড়তি সোনা কিনে মজুত করে রাখার রাখার প্রবনতাও দিনে দিনে বৃদ্ধি পেয়েছে দেশজুড়ে। কালো টাকা মজুতের এহেন অনন্য উপায়ে এবার লাগাম টানতে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। যার জেরেই কেন্দ্রের প্রস্তাবনা সোনা সংক্রান্ত একটি নতুন ‘অ্যামনেস্টি স্কিম’-এর।
গত আগস্ট মাস থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। পাশাপাশি এমন এক পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে কেন্দ্রের পরিকল্পনা দেশবাসীকে সোনা মজুতের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ঠিক করে দেওয়া। এর উপর যদি কেউ সোনা বাড়িতে মজুত করে রাখে সেক্ষেত্রে গুনতে হবে মোটা টাকা জরিমানা।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সোনার উপর বিনিয়োগ করে যে বিশাল কালো টাকা মজুত করে রাখা হয়, তার হদিশ পেতে এই স্কিম আনছে কেন্দ্র। এর জেরে দেশে মজুত সোনার সমস্ত তথ্য পাবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই নয়া স্কিমে চালু থাকবে করের ব্যবস্থা। বিল ছাড়া কত পরিমান সোনা মজুত করা হয়েছে, তার বিস্তারিত কেন্দ্রকে জানাতে হবে এই নয়া স্কিমে। মহিলাদের ক্ষেত্রে অবশ্য এখানে বিশেষ ছাড় রাখবে সরকার। তবে নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে দিতে হবে জরিমানা।
উল্লেখ্য, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ৯০০ টন সোনা আমদানি করে ভারত। যার জন্য দেশের বার্ষিক খরচ হয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ সোনা ব্যাঙ্কে মজুত করে রাখলে তাতে আয় তো আসেই না বরং লোকসানের পথে হাঁটতে হয় দেশকে। ফলে লকারে গোছানো সোনায় এবার বাড়তি নজর কেন্দ্রের। জানা যাচ্ছে, আসন্ন লোকসভা অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিল পাশ করাতে পারে সরকার।