দৃষ্টিকটূভাবে দেশের বিরোধীদলের কোনো নেতা-নেত্রীকে কাশ্মীরে ঢুকতে না দিয়ে ভারত সরকার একেবারেই অগণতান্ত্রিক কাজ করছেন৷ এমনটাই মনে করেন কাশ্মীরে ২৩ সদস্য ইউরোপীয় সাসংদ দলের এক প্রতিনিধি নিকোলাস ফাস্ট৷ তাঁর সাফ কথা, ‘আমাদের দেশেও বিরোধীরা আছেন৷ কিন্তু আমরা তাঁদের শান্তিভঙ্গের অজুহাতে দেশের কোথাও যাওয়া আটকাই না’৷ এটা গণতন্ত্রে করা যায় না বলেই মনে করেন তিনি৷ তাই নিকোলাস সাংবাদিকদেকর মাধ্যমে মোদী সরকারের কাছে কাশ্মীরে বিরোধীদের আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন৷
৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা লোপ করে রাজ্যটিকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলে পরিণত করেছে৷ অন্যদিকে উপত্যকা থেকে লে-লাদাখকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা কেন্দ্রীয়শাসিত অঞ্চল করেছে৷ আগামী কাল অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রয়ান দিবস ও প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জন্মদিন৷ এই দিনেই কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্রীয় নীতি বাস্তবায়িত হবে৷ তার আগে ইউরোপীয় দেশগুলির থেকে ২৩ জন সাংসদ কাশ্মীররে হাল হকিকৎ দেখতে এসেছেন৷ বুধবার তাঁদের সফরেরর দ্বিতীয় দিন৷ এর মধ্যে জঙ্গীরা উপত্যকায় ৫ বাঙালি শ্রমিক-সহ মোট ১১ জনকে হত্যা করেছে৷ আহত আরও ৬ জন৷
এই ঘটনার পরে ফের জম্মু-কাশ্মীরে জনজীবন নিয়ন্ত্রণ করছে সেখানকার প্রশাসন৷ ৫ আগস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত গৃহবন্দী উপত্যকার তিন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর ও ফারুক আবদুল্লা এবং মেহবুবা মুফতি৷ এদিন মুফতির হয়ে তাঁর মেয়ে ইলতিয়াজা প্রসাসনের কাছে প্রশ্ন করেছেন, বিদেশিদের কাশ্মীরে ঢুকতে দিলেও কেন রাহুল গান্ধীর মতো বিরোধী নেতাদের কাশ্মীরে যেতে বাধা দিচ্ছে মোদী সরকার? তাঁর আরও প্রশ্ন বিদেশিরা আসলেও এখানে জঙ্গি হামলা চলছে, তাহলে রাহুলদের শান্তির অজুহাতে কেন এখানে আসা আটকাচ্ছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতর? মেহবুবার হয়ে এই প্রশ্ন করেছেন তাঁর মেয়ে ইলতিয়াজা৷ বিদেশী সাংসদের মুখে মেহবুবার সেই প্রশ্নেরই প্রতিধ্বনি শোনা গেল৷