দীপাবলির দিন তাড়াহুড়ো করে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন মনোহরলাল খট্টর। সঙ্গে উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিলেন নতুন সঙ্গী জননায়ক জনতা পার্টির দুষ্মন্ত চৌটালাও। কথা ছিল, আরও জনা চারেক মন্ত্রীর শপথ হবে। কিন্তু জট সেখানেও কাটেনি। অগত্যা! আপাতত দু’জন শপথের পরে বাকি পর্ব পিছিয়ে দেওয়া হল।
প্রশ্ন উঠছে, সরকার গড়তে কেন এত তাড়াহুড়ো করল বিজেপি? মহারাষ্ট্রে যেমন কোনও তাড়াই দেখাচ্ছে না তারা। আর শুধু দু’জনই বা কেন শপথ নিলেন? বিজেপি সূত্র বলছে, জেজেপি নেতৃত্ব ও নির্দলদের দাবির সামনে এখন নাজেহাল অবস্থা খট্টরের। বিতর্কিত বিধায়ক গোপাল কান্ডাকে বাদ দিলেও বাকি নির্দল বিধায়কেরাও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক চাইছেন। তার উপর রয়েছে জেজেপির দাবি। সে সব জট কাটিয়েই সমাধান হবে।
অমিত শাহ যখনই দুষ্মন্তকে উপমুখ্যমন্ত্রী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তখন থেকে মুখ ভার খট্টরের। আজ শপথ নিয়েও খুব বেশি হাসি ফুটল না। তাতেই প্রশ্ন – সরকার টিকবে তো? হাত থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ফস্কে যাওয়া কংগ্রেসের ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা বললেন, ‘এ সরকার তো বেশি দিন চলবে না। নিজেদের মধ্যেই বিরোধে ভরা। স্বার্থের জোটে ভোটের অপমান হয়েছে। মানুষ ভোট দিয়েছে এক ভাবে, জোট হয়েছে উল্টো পথে।’