দুপুর থেকেই বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে বড় খবর ছিল প্রিয় ‘দিদি’ মমতার কাছে ভাইফোঁটা নিতে হাজির হয়েছেন ‘দিদি’র একসময়ের সহ যোদ্ধা তথা প্রিয় ‘ভাই’ শোভন চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই থেকেই শুরু জল্পনা। কি আলোচনা হয়েছে ‘দিদি’ ও ‘ভাই’য়ের মধ্যে? এটাই কি দলে ফেরার ইঙ্গিত? সবনিয়ে উৎসুক মানুষদের মনের প্রশ্নের উত্তর দেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা শোভন- বৈশাখী কেউই। মুখ খোলেননি তাঁরা। তবে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর অন্দরমহলে উপস্থিত অনেকেই বলছেন, খুবই স্বাভাবিক ভাবে কথা বলেছেন দিদি। তার মধ্যে ছিল সামান্য মস্করাও।
সূত্রের খবর, ঘরে ঢুকেই দিদির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন বৈশাখী। তারপর এক বাক্স চকোলেট দেন। দিদি তখন বলেন, “এই এত চকোলেট দিয়ে আমি কী করব? তোরা আমার সুগার বাড়াবি নাকি?” চকোলেটের বাক্স হাতে নিয়ে তা পাশে দাঁড়ানো ফিরহাদ হাকিমের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এরপর দিদিকে প্রণাম করেন তাঁর স্নেহের কানন তথা কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যয়। প্রণাম করে জিজ্ঞেস করেন, “কেমন আছ দিদি?” জবাবে মমতা বলেন, “আমি ভাল আছি। তোর শরীর কেমন আছে? ভুঁড়িটা একটু বেড়েছে মনে হচ্ছে!”
শোভন দিদিকে বলেন, “সেটা জানি না, তবে আমার ৭-৮ কেজি ওজন কমে গেছে! সুগারটাও প্রচণ্ড বেড়েছে।” শোভনের সুগার শুনেই বেশ কিছু ওষুধের পরামর্শ দেন তৃণমূলনেত্রী। বলেন, নিয়ম করে খেতে। এরপর শোভন বলেন, “প্রতিবার আসি, তাই এ বারও চলে এলাম।” ঘনিষ্ঠ মহলে মমতা বলেছেন, কেউ যদি ফোঁটার দিন আসে, তাকে তো আর না করতে পারি না!