বেশ কয়েকমাস ধরেই ক্লাবের আর্থিক সমস্যা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে সবুজ-মেরুন শিবিরে। মোহন বাগান সমর্থকরা সবথেকে বেশি উদ্বেগে আছেন দীর্ঘ পাঁচ বছর ক্লাবে ইনভেস্টর না থাকা নিয়ে। ক্লাবে অনেক ভালো কাজ হলেও মোহন বাগানে আসেনি ইনভেস্টর। হয়নি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। যদিও কোম্পানির শেয়ার ক্লাবের তহবিলে ট্রান্সফার হয়েছে। সোমবার মোহন বাগানের বর্তমান কর্মসমিতির এক বছর পূর্ন করার দিন সচিব টুটু বসু এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘গত এক বছরে গ্যালারির নীচে বিভিন্ন পরিকাঠামো গড়েছি। সোসাইটি রেজিস্ট্রেশনের আইনে নথিভুক্ত করা হয়েছে ক্লাবকে। সবুজ-মেরুন রং এবং পালতোলা নৌকার প্রতীকেরও পেটেন্টও পেয়েছে ক্লাব।’
বর্ষপূর্তির দিন মোহন বাগান সচিবকে আর্থিক সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন,‘ভারতীয় ফুটবলের রোডম্যাপ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকার জন্যই এই কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে। তবে শীঘ্রই আমরা স্পনসর কিংবা ইনভেস্টর আনতে সমর্থ হব।’
বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা, আই লিগের আগে কোনও ইনভেস্টর না এসে স্পনসর আসতে পারে বাগানে। পাশাপাশি একাধিক কো-স্পনসর এনে বাকি মরশুম চালিয়ে দিতে পারেন তিন শীর্ষ কর্তা। নতুন মরশুমে ইনভেস্টর আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন ইনভেস্টরের পরিবর্তে স্পনসর পেলেও প্রচণ্ড উপকৃত হবেন ফুটবলাররাও।