আশঙ্কা ছিলই। আর সেই আশঙ্কাই সত্যি করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসি ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার শাকিব আল হাসানকে। আজ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শাকিবের ব্যাপারে এমনই নিদান দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা।
২ বছর আগে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে এক বুকির কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়েছিলেন শাকিব। সেই বুকির প্রস্তাব তিনি তৎক্ষণাৎ নস্যাৎও করে দিয়েছিলেন। আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ, আম্পায়ার, স্কোরার যদি বুকিদের কাছ থেকে কোনও প্রস্তাব পান, তা হলে আইসিসি বা সংশ্নিষ্ট দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন কর্তাদের তা জানানো বাধ্যতামূলক।
বিখ্যাত বাঁ হাতি অলরাউন্ডার নিজের ভবিতব্য আগেই পড়ে ফেলেছিলেন। আইসিসি শাস্তির ঘোষণার পরে শাকিব দোষ স্বীকার করে বলেছেন, ‘‘যে খেলাটা আমি ভালবাসি, সেই খেলা থেকে নির্বাসিত হওয়ায় আমি দুঃখিত। আমি আমার দোষ স্বীকার করে নিচ্ছি। আমাকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা আমি গোপন করে যাই। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা ক্রিকেটার ও ভক্তদের মতোই আমিও চাই ক্রিকেট সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত একটা খেলা হোক। আইসিসি-র দুর্নীতি দমন শাখার সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই। আমি যে ভুল করেছি, উঠতি ক্রিকেটাররা যাতে আমার মতো ভুল না করে, সেই ব্যাপারে আমি আইসিসি-র সঙ্গে কাজ করতে চাই।’’
এই সত্য লুকিয়ে যাওয়ার জন্য আইসিসি শাস্তি দিতে পারে। এই ঘটনায় তাঁর উপরে নির্বাসনের খাঁড়া যে নেমে আসতে চলেছে, তা পরিষ্কারই ছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছিল, ১৮ মাসের জন্য নির্বাসিত হতে পারেন বাংলাদেশ তথা বিশ্বের সেরা এই অলরাউন্ডার। কিন্তু এদিন সন্ধ্যায় আইসিসি জানিয়ে দেয়, ১৮ মাস নয় বরং ২ বছরের জন্য নির্বাসিত হবেন শাকিব। তবে শাকিব বা বিসিবি আইসিসির কাছে শাস্তি কমানোর আবেদন করবেন কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।